১. ব্রণ দ্রুত ফেটে যায়:
প্রায়শই আপনি লোকেদের এটি করতে বা এটি সম্পর্কে পরামর্শ দিতে শুনেছেন। কিন্তু এটি ব্রণ সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। আসলে, আপনি ব্রণ ভাঙলে, এটি আপনার ত্বকে প্রদাহ, সংক্রমণ এবং দাগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই সবসময় ব্রণ ফাটা এড়িয়ে চলতে হবে।
২. ব্রণ নিজেই নিরাময় করে:
সাধারণত শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ব্রণের সমস্যা হলে তা নিজে থেকেই সেরে যায়। কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তির এই সমস্যা বেশি গুরুতর হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. সূর্যের এক্সপোজার ব্রণ নিরাময় করে:
প্রায়শই লোকেরা বলে যে রোদে যাওয়া ব্রণ সারাতে উপকারী। যেহেতু কিছুক্ষণ রোদে থাকলে ব্রণ হয় না, তবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. ব্রণের সমস্যা শুধুমাত্র কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দেখা দেয়:
ব্রণ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে একটি প্রধান ভুল ধারণা হল ব্রণ শুধুমাত্র অল্পবয়সী বা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেই হয়। আসলে ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। প্রাথমিকভাবে ১৬-২০ বছর বয়সে এই সমস্যা দেখা দিলেও তার পরে যেকোনো বয়সে যে কোনো মানুষের ব্রণ হতে পারে। এর পেছনে অনেক কারণকে দায়ী করা হয়।
৫. স্বাস্থ্যবিধির কারণে ব্রণের সমস্যা হয়:
ব্রণ নিয়ে মানুষের সাধারণ বিশ্বাস হল, পরিচ্ছন্নতার অভাবে এই সমস্যা হয়। আসলে এই সমস্যাটি ত্বকে উপস্থিত ময়লার কারণে হতে পারে, তবে এটি ছাড়াও হরমোনের পরিবর্তন, মৃত ত্বকের মতো অন্যান্য কারণেও ব্রণ হয়।
৬. অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ব্রণের সমস্যা হয়:
মানসিক চাপের কারণে ব্রণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে এখনও সঠিক কোনো তথ্য নেই। কিন্তু এটা প্রয়োজন যে একজন মানুষের যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, তাহলে আরও বেশি চাপ এবং মানসিক সমস্যা তা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৭. চকোলেট এবং তৈলাক্ত খাবার খেলে ব্রণ হতে পারে:
চকলেট, পিৎজা, পটেটো চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিজবার্গার ইত্যাদি খাওয়ার সাথে ব্রণ হওয়ার সরাসরি কোনো যোগসূত্র নেই। কিন্তু অনেক গবেষণা এবং গবেষণা নিশ্চিত করে যে অ-জৈব দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবহার এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
No comments:
Post a Comment