১. সন্তানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন
যেসব শিশু আবেগপ্রবণ হয়, তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করে, তাদের কাছ থেকে তাদের সিদ্ধান্ত বা মতামত জেনে নিন এবং শুধু সম্মান করলেই চলবে না, সন্তানের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্ত বা সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে হবে। সে সময় ভালো বা খারাপ ফলাফলকে গুরুত্ব না দিয়ে শিশুকে তার সিদ্ধান্তে সমর্থন দিতে হবে, সিদ্ধান্ত ভুল হলে ভালোবাসার সঙ্গে বুঝিয়ে বলুন, কিন্তু তাৎক্ষণিক অস্বীকার করলে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
২. সন্তানের সাথে কঠোর হওয়া এড়িয়ে চলুন
বেশি আবেগপ্রবণ শিশুদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করবেন না। এই ধরনের শিশুদের সাথে আপনাকে ভদ্র ব্যবহার করতে হবে। যেসব শিশু বেশি আবেগপ্রবণ হয়, তারাও অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়, আপনি যদি তাদের কিছু ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে দেন, তাহলে তারা সহজে বুঝতে পারবে, যেখানে কঠোরতা দেখালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
৩. শিশুর আবেগকে গুরুত্ব দিন
যদি আপনার সন্তানের কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ হয়, তাহলে সেটা আপনার স্তরে ততটা বড় নাও হতে পারে, কিন্তু আপনার সন্তানের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে, তাই আপনাকে সন্তানের বন্ধু হতে হবে এবং তার স্তরে সম্ভাব্য উপায় শিশুকে বলতে হবে। তাকে নিয়ে মজা করতে ভুল করবেন না, যে শিশুরা বেশি আবেগপ্রবণ হয়, তাদের আবেগকে অবশ্যই সম্মান করুন।
আবেগপ্রবণ শিশুদেরকে ভালোবাসার সাথে বুঝিয়ে বলুন, তাদের সাথে সময় কাটান, এই ধরনের শিশুদের সাথে কঠোরভাবে ব্যবহার করবেন না, তবে তাদের সাথে ধৈর্য ধরুন, তাহলে আপনি এই ধরনের শিশুদের সহজে সামলাতে সক্ষম হবেন।
৪. আবেগপ্রবণ শিশুদের খুশি করুন
আপনার সন্তানও যদি বেশি আবেগপ্রবণ হয়, তাহলে তার কথা বলতে সমস্যা হতে পারে, তাই শিশুকে খুশি রাখুন। আপনি যদি সন্তানের উপর রাগান্বিত হন, তাহলে তার মনোবল কমে যাবে, আপনি দেখেন কি শিশুকে খুশি করে, ছোট ছোট কাজের জন্য এই ধরনের শিশুদের পুরস্কৃত করুন এবং প্রশংসা করুন, এটি শিশুদের খুশি করার একটি সহজ উপায়। শিশুরা যাতে আপনার সাথে সংযুক্ত বোধ করে সেদিকে আপনাকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে, তাই আপনি তাদের আপনার সাথে খোলামেলা রাখুন, পিতামাতা না হয়ে বন্ধু হয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝুন।
৫. শিশু যদি আবেগপ্রবণ হয়, তাহলে তাকে সময় দিন
যেসব শিশু বেশি আবেগপ্রবণ হয়, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে, এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়বে, এমন শিশুদের কিছুটা উৎসাহ প্রয়োজন। এমন শিশুদের প্রতি ধৈর্য ধরতে হবে, তাদের সময় দিতে হবে। তাদের খেলাধুলা বা কার্যকলাপের অংশ হোন যাতে আপনি সন্তানের সাথে যতটা সম্ভব সময় কাটাতে পারেন।
No comments:
Post a Comment