গত ৪ এপ্রিল হাঁসখালীতে প্রধান আসামির বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মামলার প্রধান অভিযুক্ত টিএমসি নেতার ছেলে।
অপরাধস্থল থেকে সংগৃহীত নমুনা গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের নমুনার সঙ্গে মিলছে কিনা তা জানতে হাঁসখালি ধর্ষণ মামলায় ডিএনএ পরীক্ষা করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। এদিন তদন্তকারী সংস্থার এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
নদীয়া জেলার হাঁসখালিতে প্রধান অভিযুক্তের বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন ৪ এপ্রিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। মামলার প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে।
ঘটনার পর ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। অভিযুক্তরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লাশ ছিনিয়ে নিয়ে দাহ করেছে বলে অভিযোগ করে তার বাবা ১০ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এবার আরও প্রমাণ সংগ্রহ করতে এদিন আবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকরা তালা ভেঙে মূল অভিযুক্তের বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালান তাঁরা।
পুরো অনুসন্ধান অভিযানের সময় তার সাথে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির কর্মীরা ছিলেন এবং প্রমাণ সংগ্রহের ভিডিওগ্রাফ করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত অনুসন্ধান চলতে থাকে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন যে নবম শ্রেণির ছাত্রী একজন ব্যক্তির দ্বারা থাপ্পড় খেয়ে পড়ে মারা গেছে কিনা?
মমতা দাবি করেছিলেন, মূল অভিযুক্তের সঙ্গে মৃতার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মৃতদেহ সৎকারের পাঁচ দিন পর কেন নিহতের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কারণ অভিযুক্ত তাদের দলের একজন নেতার ছেলে।
No comments:
Post a Comment