একটি প্রবাদ আছে যে 'রাখে হরি মারে কে'। এমনই অলৌকিক ঘটনা ঘটে অনেক বড় দুর্ঘটনায়। দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায়ও তেমনই কিছু দেখা গেছে।
এই দুর্ঘটনায় চব্বিশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে অনেকেই নিরাপদে রয়েছেন। ট্রলি থেকে উদ্ধার হওয়া সন্দীপ নামে এক যাত্রী তার অভিজ্ঞতা জানালেন।
সন্দীপ জানান, তিনি ট্রলিতে বসেছিলেন। তার সঙ্গে আরও ৩ জন বসে ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ ট্রলিটি থেমে যায়। হঠাৎ আলো নিভে যায়। আধঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতি ঠিক না হলে ট্রলিতে দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন তিনি। সেখান থেকে বলা হলো কিছু সমস্যা হয়েছে।
শীঘ্রই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হবে। ২ ঘন্টা পরেও সমস্যা চলতে থাকলে তিনি আবার ফোন করেন, তারপর দুর্ঘটনার আবারও কথা জানানো হয়।
সন্দীপ জানান, সেখানে খাবার বা পানীয় জল ছিল না। কোন প্রকার সাহায্য ছিল না। কি করবে বুঝতে পারছিলেন না। সারা রাত ঈশ্বরের নাম জপ করেন তাঁরা।
সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও সিআইএসএফ কর্মীরা। সবাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। সেই ট্রলিতে আটকে পড়া লোকদের সিআইএসএফ কর্মীরা দড়ি দিয়ে বেয়ে উদ্ধার করে।
সন্দীপ জানান, এখন পর্যন্ত ১১টি ট্রলিতে ৪৮ জনেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছিল।
No comments:
Post a Comment