বিহারের রাজধানী পাটনার মৌর্য লোক কমপ্লেক্সে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে গয়ার বাসিন্দা এক কিশোরীকে। কমপ্লেক্সে মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভিড় জমে যায়।
লোকেরা প্রথমে মেয়েটিকে তার জ্ঞান ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং তারপরে তার কী হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করে। মেয়েটি ঠিকমতো কথা বলার অবস্থায় ছিল না। এমতাবস্থায় তিনি গার্ডের সহায়তায় স্বজনদের খবর দিলে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে টির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মেয়েটির হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম পায়ে ক্ষতসহ আই হেট ইউ লেখা রয়েছে।
বর্তমানে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় পাটনা পুলিশ বলছে, গয়ার বাসিন্দা ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে সে একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে কাজ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটির সঙ্গে কাজ করা গয়ার সিকদিয়া মোড়ের বাসিন্দা আনন্দ তার এই অবস্থা করেছে।
অভিযুক্ত আনন্দের বিরুদ্ধে এর আগেও গয়ার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। আহত মেয়েটির বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, ব্লেড বা কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে এ কাজ করা হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি কী তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় পরিবার।
পরিবার শুধু জানায়, চার-পাঁচ দিন আগে মেয়েটির মোবাইলে আনন্দ নামের এক ছেলের ফোন আসে। ফোনে আনন্দ হুমকি দেয়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতা গয়ার ডালমিয়া বাজারে জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে গেলে মৌর্য লোক কমপ্লেক্সে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment