২০১৫ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সহরসা, কাটিহার, পূর্ণিয়া এবং পশ্চিম চম্পারণ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এবার সহরসা থেকে দাবি প্রত্যাহার করল কংগ্রেস। দরভাঙ্গা, বেগুসরাই, সীতামারহি এবং ভাগলপুরের মতো নতুন আসন দাবি করা হয়েছে। ভাগলপুর সিপিআই কোটার অধীনে চলে গেছে।
আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ বলেছিলেন কংগ্রেসকে ছয়-সাতটি আসন দেওয়া যেতে পারে। তার ভিত্তিতেই প্রস্তুতি শুরু করেছে কংগ্রেস। রাজ্য সভাপতি ডঃ মদন মোহন ঝাও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কথোপকথনের সময় সাতটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সোমবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন "এসব আসনে আমাদের প্রার্থীরা প্রস্তুত। আশা করা হচ্ছে আরজেডি এই আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে না।"
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে দলের সব বিকল্প খোলা রয়েছে। আরজেডি যদি সম্মানজনক আসন না পায়, তাহলে কংগ্রেস প্রার্থীরাও সাত বা তার বেশি আসনে যেতে পারেন। কংগ্রেসের অসন্তোষ হল RJD পশ্চিম চম্পারণেও প্রার্থী দিয়েছে। যেখানে এটি কংগ্রেসের জয়ী আসন ছিল। একইভাবে দারভাঙ্গা ও বেগুসরাইয়েও ঘুরে বেড়াচ্ছেন আরজেডি প্রার্থীরা।
কংগ্রেসের কাছে চারটির বেশি আসন নেই। যুক্তি হল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো যোগ্য প্রার্থী নেই কংগ্রেসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থী দিয়ে আসনটি দেওয়ার কথা ভাবতে পারে কংগ্রেস। প্রসঙ্গত এমন কিছু প্রার্থীও মাঠে রয়েছে যাদের আবেদন দুই দলেই পড়ে আছে। বেগুসরাই থেকে এমন একজন প্রার্থী নিয়ে দুই দলেই আলোচনা হচ্ছে।
কুশেশ্বরস্থান ও তারাপুর উপনির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে? রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ডক্টর মদন মোহন ঝা বলেন "আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর পথ বাকি আছে। কংগ্রেসে নীতি গ্রহণের দায়িত্ব হাইকমান্ডের উপর বর্তায়। আমাদের যা বলা হবে আমরা তাই করব।"
No comments:
Post a Comment