নাস্যাম ক্রিয়া:
শরীরের নাসারন্ধ্র থেকে তেল নির্গত করার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে নাসিকা উপচার বলে। এটি পঞ্চকর্মের একটি ক্রিয়া। নস্যাম করতে দুই ফোঁটা গরুর ঘি গলিয়ে নাকে লাগালে এ রোগে উপকার পাওয়া যায়।
নারকেল তেল:
এই রোগে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ১ থেকে ২ চামচ নারকেল তেল হালকা গরম দুধের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা খালি পেটে খেলেও এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
এই জিনিসগুলো খান:
আপনার খাদ্যতালিকায় দারুচিনি, আদা, রসুন, সাদা পেঁয়াজ, থাইম এবং স্ট্রবেরি পাতার ব্যবহার বাড়াতে হবে। থাইরয়েড রোগীদের রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করা উচিৎ। এসব রোগীদের ছোট ও হজমযোগ্য খাবার খেতে হবে, খিচড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বামন থেরাপি:
পঞ্চকর্মের বামন থেরাপির মাধ্যমে পেট পরিষ্কার করে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, ফলে কফ ও পিত্ত দূর হয় এবং থাইরয়েড রোগে উপশম হয়।
প্রোবায়োটিক খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান:
আয়ুর্বেদ অনুসারে, অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য হজমের ব্যাধি এবং খাদ্য ও পানীয় নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত করুন। এ জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় বাটার মিল্ক, দই, দই, কটেজ পনিরের পরিমাণ বাড়ান।
নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করুন:
শরীরে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দুর্বল হওয়ার কারণে থাইরয়েডের মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। ফলস্বরূপ, হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম বিকাশ হয়। তাই অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির যত্ন নিতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান , মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন, ধ্যান করুন। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment