দারচিনি দিয়ে একটি ডিকোষণ পানীয় প্রস্তুত করা হয় যা শীঘ্রই স্বস্তি প্রদান করতে সহায়ক।এটিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, সিনামালডিহাইড, সিনমিক অ্যাসিড, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ফাইটো কেমিক্যাল রয়েছে যা ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগে উপকারী। তবে দারুচিনিতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা কিছু লোকের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। এ জন্য দারুচিনি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আসুন জেনে নিন দারুচিনি খাওয়ার আগে কোন কোন ব্যক্তির সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ-
১. লিভারের সমস্যা
দারুচিনিতে যেমন আমরা জানি, কোমরিন রয়েছে যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে এবং লিভারের সমস্যা বাড়াতে পারে। জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার আগে জন্ডিস এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
২.রক্তের সমস্যা
দারুচিনিতে কুমারিন থাকে যা খাবারে মিষ্টি স্বাদ এনে দেয়। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি রক্তের পাতলা ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি রক্তজনিত ওষুধ খাচ্ছেন তবে দারচিনি খাবেন না।
৩.গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া উচিত নয়
দারুচিনি অকাল শ্রম বা জরায়ু সংকোচনের প্রচার করতে পারে। এছাড়াও, বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের দারুচিনি দেওয়া উচিৎ নয়। আপনি যদি দারচিনি খাওয়ার কথা ভাবছেন তবে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪.মুখের ব্যথায় সমস্যা
মুখের আলসার একটি সাধারণ সমস্যা। এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়। আপনার প্রায়শই মুখের ফোস্কা লাগলে দারুচিনি এড়িয়ে চলুন। যদি সেবন করা হয় তবে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন। এ জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি ব্যবহারের কারণে মুখে ফোসকা হতে পারে।
৫.ডায়াবেটিসের সমস্যা
বিশেষজ্ঞের মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি যদি ওষুধ সেবন করেন, তবে তার উচিত দারুচিনি খাওয়া উচিৎ নয়। এতে পাওয়া যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। এটি মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
No comments:
Post a Comment