মায়ের রান্নাঘরটি কেবল স্বাদের ধনই ছিল না, এটি স্বাস্থ্যের একটি পরিমাপও ছিল। ঐতিহ্যবাহী পাত্রে তৈরি খাবারগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ছিল। আজও আমরা সেই দিনগুলি স্মরণ করি যখন সেই হাঁড়িগুলিতে তৈরি খাবারের আলাদা স্বাদ ছিল।
অনেক রোগ প্রতিরোধ করা হয়েছিল
আয়রন, তামা, ব্রোঞ্জ, কাদামাটি ইত্যাদিতে তৈরি খাবার আমাদের অনেক রোগ থেকে বাঁচায়। লোহার পাত্রে খাবার তৈরি খাবারের প্রভাবে শরীরে আয়রনের অভাব ছিল না। এটি রক্তাল্পতা সৃষ্টি করে না। রান্নাঘর থেকে লোহার পাত্রগুলি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রক্তশূন্যতাও কার্যকর হয়েছিল। এখন আবারও ডাক্তাররা লোহার পাত্রে খাবার তৈরির পরামর্শ দিচ্ছেন। পিতল ও তামার পাত্রে খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা হয় না।
পেট সংক্রান্ত রোগ থেকে প্রচুর স্বস্তি পাওয়া যায়। মাটির পাত্রে খাওয়ারও অনেক উপকার হয়। সব মিলিয়ে প্রথম মায়ের রান্নাঘর ছিল স্বাস্থ্যের ধন। আজকের রান্নাঘরটি রোগের একটি ভাণ্ডার ঘর। আজকাল সবকিছু সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়, কিন্তু আমরা স্বাস্থ্য পাই না। এ কারণেই মানুষ এখন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। আধুনিকতা মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে খেলেছে।
No comments:
Post a Comment