কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো দিয়েই কার্যত বাঙালির আবেগের প্রাণের উৎসব সম্পন্ন হয়। দুর্গাপুজোর পর হঠাৎ 'খালি ' লাগার মন খারাপের মেজাজে লক্ষ্মীপুজোর সমারোহ খানিকটা উৎসবের আবহ ধরে রাখে। আর সেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে সংসারে শ্রীবৃদ্ধি হয় বলে কথিত রয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর কিছু পরিচিত নিয়ম রীতি।
-> কোন কোন কাজ করা উচিত নয় লক্ষ্মীপুজোতে?:
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন মা লক্ষ্মীকো লোহার বাসনে প্রসাদ দেওয়া ঠিক নয়। এছাড়াও যেখানে প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে, সাদা বা কালো কাপড় পাতা উচিত নয়। সেখানে লাল বা গোলাপি কিম্বা হলুদ রঙের কাপড় পাতুন।
-> লক্ষ্মীপুজোর নিয়ম :
সাধারণত কাঁসর ঘণ্টা দিয়ে সমস্ত পুজো হলেও, লক্ষ্মীপুজোতে শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি অবশ্যিক। এতে ঘরের অশুভ শক্তি দূর হয়।
-> লক্ষ্মী পুজোর আল্পনা:
অন্য়ান্য পুজো আর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আল্পনাতে বেশ কিছু পার্থক্য থাকে। এই পুজোতে মূল আল্পনার সঙ্গে বাড়ি জুড়ে আঁকা হয় ধানের ছড়া, মুদ্রা, আর মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের ছবি। এই প্রতীকগুলি পুজার মাহাত্মকে যেমন ব্যাখ্যা করে, তেমনই পুজোর আচারের একটা অংশ হয়ে উঠেছে এই বিশেষ ধরণের আল্পনা।
-> কোন ফুল দিতে হয় মা লক্ষ্মীকে? :
মা লক্ষ্মীকে এদিন গোলপী রক্ষের ফুলে সাজিয়ে তুলতে হয়। হলুদ রক্ষের ফুল দিয়েও এদিন মা লক্ষ্মীর বেদী সাজালে সংসারে সুখ , শান্তি ও সম্মান বৃদ্ধি পায়।
-> লক্ষ্মী পুজোর দিন চাল দান নয় :
যে গৃহস্থে লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে সেই গৃহস্থে সেদিন চাল দান করা যাবে না অন্য কাউকে। পুজোর দিন কাউকে চাল দান করতে নেই বলে শাস্ত্র মতো প্রচলিত। তবে লক্ষ্মীর প্রসাদ সেদিন সকলকে দেওয়া যাবে।
-> সপ্ততরী :
নবপত্রিকা বা কলার পেটোর তৈরি নৌকা এই পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই নৌকা এখনও বহু গৃহস্থেই তৈরি হয়ে থাকে। তবে বাজারেও এখন কিনতে পাওয়া যায় কলার পেটো। একে সপ্ততরী বলা হয়। এই তরীকে বাণিজ্যের নৌকা হিসাবে ধরা হয়। তাতে অনকেই টাকা -পয়সা, চাল, ডাল, হরিতকি, কড়ি, হলুদ সাজিয়ে রাখেন। সপ্ততরীকে লক্ষ্মীর বেদীর সামনেই রাখা হয়।
No comments:
Post a Comment