সদ্য বিজেপির রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে। অসীম সরকার, অম্বিকা রায়, সুব্রত ঠাকুর, মুকুটমণি অধিকারী এবং অশোক কীর্তনিয়া বিজেপি বিধায়কদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। এই ঘটনা বড়দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
'বামপন্থী' বিধায়করা এখনও তাদের অভিযোগ প্রকাশ করেননি, তবে বিজেপির অভ্যন্তরে ঝড় থামছে না। আর এই পরিস্থিতিতে পুরনো দলের নেতৃত্বকে আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল ট্যুইটারে লিখেছে “নিজগুনে' পরের পর উইকেট পড়ছে বিজেপির। আজ আরও পাঁচটি গেলো মনে হচ্ছে। শিববাবু শুনলাম সব শুনে কৈলাসে গেছেন। আসল বাঙালি কাঁকড়াদের খুঁজিয়া পাইবার একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান – মুরলীধর লেন।"
বিধানসভায় বিজেপি সংসদীয় দলের চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন যে "তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ-পরিত্যাগকারী দুই বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া এবং সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে সংসদীয় স্তরে আলোচনা হবে বলে দাবি মনোজের, রাজ্য স্তরেও আলোচনা হতে পারে। তিনি আরও দাবি করেন ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছে, বিধায়করাও ভুল বুঝেছেন।"
২০১৯ এবং ২০২১ নির্বাচনে মতুয়া ভোট বিজেপিকে বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ সহ প্রায় ছয়টি আসনে জয়ী হতে সাহায্য করেছে। তা সত্ত্বেও একজনের মালিকানা এখনও গড় ব্যক্তির নাগালের বাইরে। শোনা যাচ্ছে দিল্লীতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাদ্দারের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তবে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষের আগুন যে কমছে না তা স্পষ্ট। এমতাবস্থায় বাবুল সুপ্রিয়ার এই ট্যুইট আগুনে ঘি দেওয়ার মতোই মনে করছেন অনেকে।
No comments:
Post a Comment