ভারতীয় খাবার বিভিন্ন স্বাদে পরিপূর্ণ। প্রতিটি কামড়ে আপনি এখানে অতুলনীয় মশলার স্বাদ পাবেন। ভারতীয় খাবারে সুগন্ধি এবং স্বাদযুক্ত মশলার সাথে কাঁচা লংকার ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। এটি সালাদ, রাইতা, চাটনি, সবজি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। ডাল-ভাত, পোলাও বা পরোটা হোক, কাঁচা লংকা সব খাবারের স্বাদই বদলে দেয়।কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার প্রিয় জিনিসটি কীভাবে মেটাবলিজম বাড়াতে কাজ করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে?
কাঁচা লংকা টিনজাত লাল লংকার গুঁড়োর একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। কাঁচা লংকা ক্যাপসাইসিন, আয়রন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, পটাসিয়াম এবং ডায়েটারি ফাইবার মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।
কাঁচাি লংকা কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি 50 শতাংশ পর্যন্ত মেটাবলিজম বাড়াতে পারে। কাঁচা লংকা খেলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে, মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা বলে যে, মশলাদার খাবার আপনার ক্ষুধা কমায় এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধাহীন রাখে, যার ফলে আপনার ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস পায়। এই সব্জিতে ক্যালোরির পরিমাণও খুব কম, যা ওজন কমানোর চেষ্টা করা লোকদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে ।
ওজন কমানোর জন্য, বিশেষজ্ঞরা কাঁচা লংকা কেটে শাকসবজিতে যোগ করার এবং লাল লংকার গুঁড়োর পরিবর্তে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।এছাড়াও আচার, রায়তা, সালাদ বা ডাল, ধোকলা বা দইয়ের জন্য টেম্পারিং হিসাবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে ।
কাঁচা লংকা কি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে?
টাইপ-1, টাইপ-2 বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি হল বিপাকীয় সিনড্রোম এবং রক্তে শর্করার অধিকতা।
মেটাবলিজম-বুস্টিং এবং ওজন-হ্রাসের বৈশিষ্ট্যগুলির উপকারিতা সরাসরি ডায়াবেটিসের কম ঝুঁকির সাথে যুক্ত।
মনে রাখবেন:
কাঁচা লংকা স্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড উপকারী, তবে কতটা খাবেন সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। সবজি, রাইতা, তড়কা বা যাই হোক না কেন, দিনে মাত্র 12 গ্রাম কাঁচা লংকা খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। এ ছাড়া এটি পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া এবং অনেক ধরনের ত্বকের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment