নিউজ ডেস্ক: 'লখিমপুর খেরির ঘটনাকে হিন্দু বনাম শিখ যুদ্ধে পরিণত করার চেষ্টা চলছে' এমনই মন্তব্য করলেন বরুণ গান্ধী। উল্লেখ্য, বিজেপির লোকসভা সদস্য বরুণ গান্ধী দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী থেকে বাদ পড়ার কয়েকদিন পর অর্থাৎ রবিবার একথা বলেন।
বরুণ গান্ধী এক ট্যুইটে উল্লেখ রয়েছে, “লখিমপুর খেরিকে হিন্দু বনাম শিখ যুদ্ধে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি কেবল একটি অনৈতিক ও মিথ্যা আখ্যানই নয়, এই ফল্ট লাইন তৈরি করা এবং ক্ষতগুলি পুনরায় খোলা বিপজ্জনক, যা ঠিক হতে এক প্রজন্মকে লেগে গিয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক লাভকে জাতীয় ঐক্যের ঊর্ধ্বে রাখা উচিৎ নয়।"
৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভের সময় একজন সাংবাদিকসহ আটজনের মৃত্যু হয়। ৭ অক্টোবর বরুণ এবং তার মা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধীকে পুনর্গঠিত বিজেপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দলের 'শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা'র মতামতের ওপর ভিত্তি করে।
এর আগে ৭ অক্টোবর ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করে বরুণ গান্ধী বলেছিলেন “ভিডিওটি কাঁচের মতো স্পষ্ট, কোনও হত্যার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের চুপ করানো যায় না। কৃষকদের নিরীহ রক্তের জন্য জবাবদিহি করতে হবে এবং প্রতিটি কৃষকের মন মস্তিষ্কে অহংকার এবং নিষ্ঠুরতার বার্তা প্রবেশ করার আগে ন্যায়বিচার প্রদান করতে হবে। "
৫ অক্টোবরেও তিনি একটি ট্যুইট করেছিলেন “লখিমপুর খেরিতে ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষকদের উপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া গাড়ির এই ভিডিও একজনের অন্তরাত্মাকে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। পুলিশকে অবশ্যই এই ভিডিওগুলির দিকে নজর দিতে হবে এবং অবিলম্বে এই গাড়ির মালিকদের, তাদের মধ্যে যারা বসে আছে এবং জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে হবে। "
বরুণ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে লখিমপুর খেরি ঘটনার তদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ আনা হোক।
No comments:
Post a Comment