নিউজ ডেস্ক : প্রতিটি বাড়িতেই দই ব্যবহৃত হয়। দই খুবই স্বাস্থ্যসন্মোত ও সুস্বাদু, যা আমরা প্রত্যেকেই জানি। দই অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে। যার অনেক উপকারিতা রয়েছে। দই এ রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ইত্যাদি উপাদান।
দই স্বাস্থ্যের জন্য দুধের চেয়ে বেশি উপকারী। দই এ দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া দইতে প্রোটিন, ল্যাকটোজ, আয়রন, ফসফরাসের মতো উপাদানও রয়েছে।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন ডায়েটে নানাভাবে দই অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। যেমন দই দিয়ে ভাত, রায়তা এবং বাটারমিল্ক তৈরি করেও খাওয়া যায়। দইয়ের পুষ্টিগুণ আমাদের সুস্থ রাখে।
পেটের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক রোগও দূর হয়।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে দই এর সাথে কি খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ দই দিয়ে এই জিনিসগুলি খাওয়া আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন জিনিস গুলো দই এর সঙ্গে খাওয়া ক্ষতিকারক :-
দুধ :-
দুধের সঙ্গে দই খাওয়া কখনোই উচিৎ নয়। দই দুধ থেকে তৈরি হয়, তাহলে কেন আমরা দুজনেই একসঙ্গে খেতে পারি না? সহজ উত্তর হল দুধ দইয়ে রাখলে ফেটে যায় এবং দই হয়ে যায়।
দুটোই একসঙ্গে খেলে, শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং উভয়ের স্বভাবও ভিন্ন। এটি করলে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।
কলা:-
আমরা প্রায়ই দুধের সঙ্গে কলা খাই যা অমৃতের মতো। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কলা দই দিয়ে খাওয়া হয় না। এই দুটো একসাথে খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই কখনই দই দিয়ে কলা খাওয়া উচিৎ নয়।
মুরগির সঙ্গে দই নৈব নৈব চ :-
দই এবং মুরগি উভয়ই শরীরের জন্য উপকারী। যদিও দই শরীরের পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো, শরীর মুরগি থেকে প্রোটিন পায়। কিন্তু যখন এই দুটো একসঙ্গে খাওয়া হয়, তখন তা শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ উভয়েরই আলাদা প্রভাব আছে। যেখানে দইয়ের প্রভাব ঠান্ডা, সেখানে চিকেনের প্রভাব গরম। অতএব, ভিন্ন প্রকৃতির দুটি পদার্থ একসঙ্গে খাওয়া উচিৎ নয়।
মাছ এবং দই:-
দই মাছের সঙ্গে খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, মাছ এবং দই একসঙ্গে খেলে লিউকোডার্মা নামক রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই রোগে, ব্যক্তির মুখে সাদা দাগ দেখা যায়। কখনও কখনও পুরো শরীরেও সাদা দাগ দেখা দিতে শুরু করে। তাই আপনি যদি মাছের সঙ্গে দই খাচ্ছেন, তাহলে আজই বন্ধ করুন।
দই এবং সাইট্রাস ফল:-
দই এবং টক ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে বিবেচিত হয় না। দই এবং সাইট্রাস ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম পাওয়া যায়। দুটোই একসঙ্গে খেলে পাচনতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করে না, যার কারণে শরীরে টক্সিন তৈরি হতে শুরু করে। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
No comments:
Post a Comment