নিউস ডেস্ক :" কর্মই জীবন। কর্ম করে যাও ফলের আশা করো না " হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ পবিত্র গীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণর পবিত্র বাণী, আমরা প্রত্যেকে জানি। প্রতিটি মেয়ে হয় দশভুজা।" জুতো সেলাই থেকে চণ্ডী পাঠ" একটি মেয়েকেই সব জানতে হয়।
একজন কর্মরত মহিলাকে যেমন ঘরে ও বাইরে দুটোই সামলাতে হয়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখাটা দরকারী হয়ে যায়। একজন কর্মরত মহিলার সবদিক সামলে নিজেকে সুস্থ রাখা আর নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য কিছু টিপস দেওয়া হল।
দ্রুতগতির জীবনে বাড়ি এবং অফিসে মহিলাদের নিজের জন্য সময় বের করা অনেকটাই কঠিন। গত বছর মহামারীর পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞ রুবেনস অধিকারী আমাদের কিছু টিপস দিয়েছেন।
রুবেন্স অধিকারী বলেন, "কর্মজীবনের ভারসাম্যহীনতা এবং অনিয়মিত সময়সূচির কারণে আমরা আমাদের খাওয়ার রুটিন মেনে চলতে পারছি না।
করোনাভাইরাস
ব্যাঘাত সৃষ্টি করা ছাড়াও, স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। এটি মানুষকে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করেছিল। ফলস্বরূপ, তারা তাদের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতন এবং সতর্ক হয়ে উঠেছে। ফিট থাকা ইমিউন সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে দিনে ২-৩ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন। জল আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে ও শরীরকে ভারসাম্যপূর্ণ এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কাজের পরে কিছু ব্যায়াম করা :-
কাজের পড়ে কিছু ব্যায়াম করলে কেবল মানসিক চাপ দূর কড়ে না বরং মন কে শান্ত রাখে এবং শক্তি দেয়।
যেমন হালকা কার্ডিও বা অ্যারোবিকস যোগাসন করা যায়।
অবসরে গান করলে চাপমুক্ত থাকা যায়।
মানসিক চাপ কমাতে এগুলি হল কিছু সহজ এবং সহজ কার্যক্রম। যা করতে হবে ১৫ মিনিট।
কিছু ব্যায়াম দিয়ে সকাল শুরু করা ভালো :-
মুখে একটি হাসি দিয়ে নিজের দিন দিন শুরু করা ভালো। এরসঙ্গে ধ্যান অনুশীলন করা ভালো। এগুলো করলে সামনের ব্যস্ত দিনে সতেজ থাকা যাবে।
হাঁটা:-
যখনই সম্ভব হাঁটতে হবে।
আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হল লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি নেওয়া।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:-
একটি ফিটনেস রুটিন যতটা গুরুত্বপূর্ণ, একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়া সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে । ফল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ, লেবু ইত্যাদি। এর নিয়ম হল দিনে ৫-৬ বার খাবার খাওয়া এবং কখনই ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে না যাওয়া।
রুবেনস অধিকারী আরও বলেন, "সেই দিনগুলি চলে গেছে যখন দিনে একটি আপেল আপনাকে ডাক্তারদের থেকে দূরে রাখতে পারে। আজকাল, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যের পাশাপাশি একটি ব্যায়াম রুটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হয়, যা ডাক্তার এবং রোগকে দূরে রাখে।"
No comments:
Post a Comment