নিউজ ডেস্ক: সকালের হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু সকালের হাঁটার সুফল তখনই পাওয়া যায় যখন আপনি সঠিক সময়ে এবং সঠিক পথে হাঁটবেন। সবচেয়ে ভালো দিক হল এই হাঁটা যে কোন বয়সের যে কেউ করতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার দিনে কতটা হাঁটা উচিৎ? তাহলে জেনে নিন ৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তির কতক্ষণ হাঁটা উচিৎ। সুবিধা কি?
যদি আপনি সকালে সূর্যোদয় বা সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পরে হাঁটেন, তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি পাবেন । অন্ধকারে হাঁটার সময় অথবা সূর্যোদয়ের আগে আপনি ভিটামিন-ডি পাবেন না।
প্রচুর অক্সিজেন পাওয়া সকালের হাঁটার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। কিন্তু যদি আপনি অন্ধকারে বেড়াতে যান, তখন আপনি অক্সিজেনের সুবিধা পাবেন না কারণ গাছ এবং গাছপালা সেই সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে।
প্রতিদিন সকালে খোলা হাওয়ায় হাঁটলে হার্টের সমস্যা হয় না। আপনি যদি হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটুন। এতে করে হৃদরোগ শরীরে হয় না।
মর্নিং ওয়াক এমন কিছু মানুষের জন্য একটি অ্যাগ্যাভ প্রতিকার যারা তাদের বাড়তি শরীরের ওজন নিয়ে বিরক্ত। সকালে দৌড় শরীরের ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
মর্নিং ওয়াক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। অতএব, ক্যান্সার রোগীর জন্য প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৪৫ মিনিট মর্নিং ওয়াক করা খুবই উপকারী। একটি গবেষণা অনুযায়ী এটা বিশ্বাস করা হয় যে মানুষ সকালে হাঁটেন তাদের স্বাস্থ্য জিমগোয়ারদের চেয়ে ভালো।
একজন মানুষের কতক্ষণ হাঁটা উচিৎ তা জানেন?
৫ থেকে ৭ বছরের শিশুদের প্রতিদিন কমপক্ষে ১২০০০ থেকে ১৫০০০ ধাপ হাঁটা উচিৎ।
১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদেরও প্রতিদিন ১২০০০ ধাপ হাঁটতে হবে।
৪০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রতিদিন ১১০০০ ধাপ হাঁটতে হবে।
৫০ বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিদিন ১০০০০ ধাপ হাঁটা উচিৎ।
৬০ বছরের উপরে বয়স্কদের ৮০০০ ধাপ পর্যন্ত হাঁটতে হবে।
যদি আপনার কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, হাঁটার আগে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment