নিউজ ডেস্ক : করোনার মহামারীটি হুট করে অনেক তারাকে মেঝেতে নিয়ে এসেছিল। কাজের অভাবে অনেককে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল এবং অভিনেতা জাভেদ হায়দারের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জাভেদ হায়দার চরিত্র শিল্পী এবং শৈশবকাল থেকেই অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। তবে আজ তিনি ব্যর্থতার জীবনযাপন করতে বাধ্য।
চরিত্র শিল্পী জাভেদ হায়দার শিশু শিল্পী হিসাবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ইয়াদোন কি বারাত দিয়ে। এই ছবিটি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। শৈশব থেকেই অভিনয় করা জাভেদ হায়দার বহু অজস্র ছবির অংশ হয়েছিলেন। তবে আজকাল কাজের অভাবে সে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, এমনকি তার মেয়ের স্কুল ফি প্রদান করতেও তিনি সমস্যায় পড়ছেন।
একটি নিউজ পোর্টালের সাথে কথোপকথনের সময় জাভেদ বলেছিলেন, 'আমার একটি মেয়ে আছে, যে ৮ ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। একজন বাবা হিসাবে আমি তাকে আরও উন্নত শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করি। আগে কাজ চলার আগ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। আমার মেয়ের অনলাইন ক্লাস চলছে। তারা তিন মাসের জন্য ফি ছাড় দিয়েছিল, কিন্তু তারপরে আমাদের প্রতি মাসে প্রায় ২৫০০ টাকা দিতে হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমি স্কুলে গিয়ে সেখানকার প্রশাসনের সাথে কথা বলেছিলাম, তারপরে তারা বলেছিল যে আমরা তিন মাস ক্ষমা করে দিয়েছি।
জাভেদ আরও বলেছিলেন, 'স্কুল কেন আমাদের মতো বাবা-মার প্রতি দয়া দেখায় না তা আমি বুঝতে পারি না। লকডাউনের কারণে গত দুই বছর ধরে মেয়ের অনলাইন ক্লাস চলছে। আমি সময় মতো ফি জমা দিতে থাকি। গত কয়েক মাস ধরে আমি ফি জমা দিতে পারিনি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি আমার মেয়েকে অনলাইন ক্লাস থেকে বহিষ্কার করেছেন।
নিজের পরিস্থিতি বর্ণনা করে জাভেদ বলেন, 'বহুবার লোক আমাকে বলেছিল যে তাদের কাছে আমার সাহায্য চাইতে হবে। আশঙ্কা থেকে যায় যে এমনকি যে কাজটি প্রায় শেষ হতে চলেছে তাও হাতছাড়া হতে পারে না। এজন্য আমাদের মতো লোকেরা কেবল অ-ফিল্মি বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা স্ত্রীর গহনা এবং ঘরের কাগজ বন্ধক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে।
No comments:
Post a Comment