নিউজ ডেস্ক : দিলীপ ঘোষ বুধবার সকালে দিল্লি উড়ে গেলেন। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজধানীর উদ্দেশে উড়ে যান কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সকাল ৬টার ফ্লাইটে। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে বললেন, 'লম্বা ছুটি কাটাতে যাচ্ছি।' দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য আক্ষরিক অর্থে নাকি ইঙ্গিতবহ, তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।
উল্লেখ্য, এদিন দিলীপ ঘোষ ১০ দিনের লম্বা সফরে দিল্লি গেলেন। এই সফরকালে দিলীপবাবুর সংসদীয় দলের সঙ্গে কাশ্মীরেও যাওয়ার কথা। ফের কলকাতায় ফিরবেন দিলীপ ঘোষ সংসদ অধিবেশন পার করেই।
এর আগে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে দুই দিন আগেই দিলীপবাবুর দিল্লি যাত্রা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। সেই সফরে দিলীপ ঘোষ জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতী সভাপতি। সেই বৈঠকে দিলীপ ঘোষই তোলেন নাড্ডার সামনে আদি নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি। এতে সহমত প্রকাশ করেন নাড্ডাও। রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে এর ফলে দিলীপবাবুর কর্তৃত্ব আরও মজবুত হল রাজ্য বিজেপিতে। এদিকে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনাও দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপির সংগঠনে। এর আগে এক সংবাদমাধ্যম এ রিপোর্ট করা হয়েছিল যে দিলীপ ঘোষকে সরানো হতে পারে সভাপতি পদ থেকে। তবে জল্পনার পর্যায়ে পুরো বিষয়টাই। এদিকে আরএসএস-র সাংগঠনিক রদবদলে রমাপদ পাল পূর্বাঞ্চলীয় ক্ষেত্রপ্রচারক হয়েছে। আবার জানা গিয়েছে তিনি দিলীপ ঘনিষ্ঠ বলে।
এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, জেলা কমিটি, রাজ্য কমিটি বা মণ্ডল কমিটিতে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বিজেপিতে বড় পদে কোনও বসিয়ে দেওয়া যাবে না, এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দিলীপ-নড্ডা বৈঠকে। যে সমস্ত তৃণমূল নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছেন, দলের নীতি-আদর্শ মেনে তাঁদের আগে কাজ করতে হবে। দায়বদ্ধতা দেখাতে হবে দলের প্রতি। তারপর , তাঁদের পদ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে যদি রাজ্য নেতাদের মনে হয় তো। তার আগে দলের পুরনো নেতাদের হাতে দলের সংগঠনের রাশ পুরোপুরি থাকবে। পুরনো নেতৃত্বের হাতেই জেলা কমিটিতেও দলের রাশ থাকবে। জেলায় জেলায় সিলমোহর দেওয়া হবে কার্যকারিণী বৈঠকেই নতুন প্রস্তাবে৷ তবে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে শুভেন্দু আধিকারী এবং মিহির গোস্বামীকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment