দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমায় গোসাবা ব্লকের রাঙ্গাবেড়িয়া জেটিঘাট,দুলকি পাঁচ নম্বর সহ বিভিন্ন এলাকায় ক্রংকিটের নদী বাঁধ নির্মানের দাবিতে পথে নামল গ্রামবাসীরা।এমনকি গোসাবা দ্বীপের প্রত্যন্ত এলাকায় মহিলারাও পথে নামে ক্রংকিটের নদী বাঁধের দাবিতে।একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কিন্তু চিরস্থায়ী নদী বাঁধ আজও গড়ে ওঠেনি।১৯৫১-৫২ সালে মাতলা নদীতে তৈরি হয় স্প্রিং বাঁধ।তারপর থেকে সুন্দরবনে তেমন ভাবে নদী গুলিতে বাঁধ সংস্কার হয়নি বিগত কংগ্রেস ও বাম সরকারের ব্যর্থতায়।ফলে বিগত বছর গুলিতে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় আয়লা,বুলবুল,ফণি,আমফানের মতন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা কখনও ঝড়ে কখনও নদীর জলোচ্ছ্বাসে।৩,৫০০ কিমি নদী বাঁধ সুন্দরবনকে ঘিরে রেখেছে।
সুন্দরবনের ১০২ টি দ্বীপের মধ্যে বর্তমানে ৫৪ টি দ্বীপের জঙ্গল প্রায় সম্পূর্ণ হাসিল করে গড়ে উঠেছে মানুষের বসবাস।আর বাকী ৪৮ টি দ্বীপে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে সুন্দরবন।গত ২৬ ও ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা।ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবনের মাতলা, বিদ্যাধরী,করতোয়া,দুর্গা দুয়ানী,গোমর,হানা সহ বিভিন্ন নদী বাঁধের।
ইয়াসের তান্ডবে নদীর বাঁধ ভেঙে এবং ওভারফ্লো হয়ে নোনাজল লোকালয়ে ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়।আর এই সমস্ত বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।এমনকি তিনি সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ এবং সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বিষয় নিয়ে।বুধবার সুন্দরবনের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের সাংসদ তথা রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক ব্যান্নার্জী।
তিনি বলেন আমি নিশ্চিত যে এর একটা স্থায়ী চিরস্থায়ী প্রতিকার এবার আমরা করতে পারবো,মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলেছেন।এই যে বার বার ভরা কোটাল বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে ভাবে নদীর জল বেড়ে যায়,বাঁধ ভেঙে যায় এর একটা চিরস্থায়ী প্রতিকার দরকার।এদিকে গোসাবার বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামবাসীরা পথে নেমে দাবি জানায় আমরা চাই কংক্রিটের নদী বাঁধ।আর কংক্রিটের নদী বাঁধ যতদিন পর্যন্ত না হবে এই আন্দোলন চলতে থাকবে।
No comments:
Post a Comment