ফলন প্রচুর, ক্রেতা নেই মালদহ আমের। করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে বিদেশে আমের রফতানি তো দূর দেশেও এমনকি রাজ্যেও মালদহের হিমসাগর এবং ফজলি আমের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। মালদার বিভিন্ন বাজারে, এমনকি জাতীয় সড়কের ধারে সারি দিয়ে বসেছে আম বিক্রেতারা। কিন্তু খদ্দের নেই। সবথেকে সুস্বাদু গোপালভোগ, আম্রপলি , লক্ষণভোগ, গোলাপখাস, হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে মাত্র পনের থেকে কুড়ি টাকা কিলো দরে । তাও কেনার লোক নেই। অথচ বিগত বছরগুলোতে ওইসব আম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়ে এসেছে। কিন্তু এবারের করোণা পরিস্থিতিতে চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। গত বছর থেকেই আম বিক্রিতে চরম লোকসান করে আসছেন আম চাষী থেকে ব্যবসায়ীরা।
এমনকি মজুত থাকা আম বেশিদিন রাখতে পারছে না চাষি এবং ব্যবসায়ীরা। দ্রুত পচন ধরে যাওয়ার কারণেই অনেক চাষি থেকে বিক্রেতারা আবার আম ফেলে দিচ্ছেন। কেউ আবার গবাদি পশুদের খাইয়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা থাকলেও, তার মেয়াদ ১৫ জুন পর্যন্ত করেছে রাজ্য সরকার। আর তাতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মালদার আম চাষীরা । তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনের মধ্যে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরের জেলায় অথবা ভিন রাজ্যে রপ্তানি করা যাচ্ছে না আম।
খদ্দেরের অভাবে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে সুস্বাদু অনেক জাতের আম। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে চাষি এবং ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন মালদার আম ব্যবসায়ী থেকে চাষীরা। উদ্যানপালন দফতরের উপ অধিকর্তা কৃষ্ণেন্দু নন্দন জানিয়েছেন, অনুকূল আবহাওয়া থাকার কারণে এবছর মালদায় আমের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বাজারে গোপালভোগ, লক্ষণভোগ, গোলাপখাস সহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু আম উঠতে শুরু করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এবছর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হতে পারে।
No comments:
Post a Comment