কোভিড নিয়ে বেসরকারি ল্যাবের কালো কারবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও শিলিগুড়ি পুরনিগম। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে জেলা শাসক এস পুনম বল্লাম, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য্য,জেলা কোভিডের নোডাল আধিকারিক সুরেন্দ্র গুপ্তার উপস্থিতিতে শিলিগুড়ি শহরের সমস্ত বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন শিলিগুড়ি পুর প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্যরা। এরপরই পুর প্রশাসক গৌতম দেব জানান বেসরকারি ল্যাবগুলির র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার কোন অনুমোদন নেই।
সমস্ত ল্যাবগুলিকে সত্ত্বর টেস্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া শিলিগুড়িতে ল্যাব গুলি যেভাবে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করছে তা তারা করতে পারেনা। এই বেআইনি কাজ তাদের বন্ধ করতে হবে নইলে ল্যাবের বিরুদ্ধে পুর প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আরটিপিসিআর টেস্ট বাবদ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া চলবে না। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট অর্থ নিতে হবে। প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার জানান শিলিগুড়ি শহরে গুচ্ছের বেসরকারি ল্যাবগুলি কোভিড পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা মানছে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনোরম অনুমোদন ছাড়াই বেশ কিছুদিন ধরে বেআইনীভাবে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করে মানুষকে বাণিজ্যিক স্বার্থে প্রতারণা করছে ল্যাবগুলি।
রুগীকে কোনো প্রকার টেস্ট রিপোর্ট পর্যন্ত দিতে পারছে না ল্যাব। যার জেরে আক্রান্ত ব্যক্তি দশ গুন বেশি টাকা দিয়ে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করিয়েও কোনো হাসপাতালে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারছেন না। পাশাপাশি পরীক্ষার পর কোভিড সংক্রমিতের তালিকাও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পুর প্রশাসনকে জানানো হচ্ছেনা ল্যাবের তরফে। যার জেরে শহরের বিরাট অংশের সংক্রমিতদের কোনো তথ্য থাকছে না পুর প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। এমনকি এন্টিজেন টেস্টের ক্ষেত্রে যে কিট তারা ব্যবহার করছেন তার গুনগত মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্ট এর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যদপ্তর একটি নির্দিষ্ট কিট সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ব্যবহার করা হয়। অথচ বেসরকারি ল্যাবগুলি বাইরে থেকে অবৈধভাবে কিট ক্রয় করে তা দিয়ে পরীক্ষা করছে। সেই কিট ও রিপোর্ট কতটা সঠিক তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
No comments:
Post a Comment