শুভেন্দু অধিকারী-সৌম্যেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে আদি বিজেপি কর্মীদের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কাঁথি শহরে। এরইমধ্যে কাঁথির সাতমাইলে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সাংগঠনিক সভা করলেও দেখা মিললো না অধিকারীদের কাউকেই।স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরেই কাঁথি শহর জুড়ে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অনেকেই বলছেন খাতায় কলমে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে বাদ দিলে অধিকারী পরিবারের বাকী তিন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব শুভেন্দু অধিকারী,শিশির অধিকারী ও সৌম্যেন্দু অধিকারী বিজেপির সাথে সরাসরি জড়িত। মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারী ও এগরায় শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে।তবে সভায় হাজির থাকলেও বিজেপির পতাকা হাতে নেন নি শিশির।এটা বাদ দিয়েও বিজেপির একাধিক নির্বাচনী জনসভায় হাজির থেকে ছেলে শুভেন্দুর মত তিনিও তৃণমূলকে তীব্র আক্রমন করেছিলেন।কাঁথিতে এক সভায় ভাজপায় যোগ দিয়েছিলেন সৌম্যেন্দু।সেই তাদের কাউকেই দেখা যায়নি এই সভায়।
ভারতীয় জনতা পার্টির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সূত্রে জানা গেছে সাতমাইল দুলালপুর নেতাজী যুব সংঘে দলীয় জেলা কার্যালয়ে দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষ,জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, জেলা সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র,তাপস দোলাই ও সুদাম পন্ডিত সহ জেলার কার্যকর্তা ও নেতৃবৃন্দ।কিন্তু অধিকারীরা হাজির ছিলোনা। বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরে দলের রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে সাংগঠনিক সভায় শুভেন্দু অধিকারী-শিশির অধিকারী-সৌম্যেন্দু অধিকারীদের অনুপস্থিতি এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন তুলেছে।
এই বিষয়ে কথা বলতে বিজেপির কাঁথির সাংগঠিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীকে বার বার ফোন করেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment