শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা ভবনে ঘূর্ণিঝড় যশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা।এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাথর প্রতিমা কেন্দ্রের বিধায়ক সমীর জানা,ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক সওকাত মোল্লা,ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশ রাম দাস, জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সুপার অপূর্ব লাল সরকার সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকগণ।এদিনের বৈঠক ঘূর্ণিঝড় যশ বিষয়ে সরাসরি যে গাইড লাইন দেওয়া হয়ে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।পাশাপাশি কোভিডের সময় স্বাস্থ্য বিধি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে এনে রেসকিউ সেন্টার নিয়ে আসা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষজন কে সরিয়ে আনার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে।ফলে রেসকিউ সেন্টার গুলিতে চলছে স্যানিটেশন।এছাড়া পযাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা,জল পথে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।ইতিমধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লক গুলিতে রাখা হয়েছে।চলছে মাইক মাইকিং স্থল পথ,জল পথ ও আকাশ পথে।যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা এখনও নদীতে ও সাগরে আছে তাদের বাড়ি ফিরে চলে আসার জন্য সর্তক বার্তা দেওয়া হচ্ছে।এমনকি যাতে মৎস্যজীবীরা নদীতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যায় তার ও সর্তক বার্তা দেওয়া হচ্ছে।২০০৯ সালের ২৫ মে আয়লা,নভেম্বরে বুলবুল,২০২০ সালের ২০ মে আমফান বিগত বছর গুলির এই প্রতিটি সাইক্লোনে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়ে ছিল সুন্দরবন।ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছিল।
তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সুন্দরবন।আর সেই সময় আবহাওয়া দফতরের সূত্রে খবর আগামী ২২ মে উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হবে।যা থেকেই তৈরি হতে পারে সাইক্লোন।ঝড়ের অভিমুখ হতে পারে বাংলার দিকে।আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম যশ।রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় যশ এবং কোভিড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।সরকার ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।প্রায় ৩ লক্ষ মানুষজনকে সরিয়ে আনা হবে রেসকিউ সেন্টারে।পযাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল,ত্রাণ সামগ্রী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।কোভিডের কথা মাথায় রেখে রেসকিউ সেন্টার গুলি তে স্যানিটাইজার করা হচ্ছে এবং জল পথে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment