মাত্র ৬ দিনে করোণা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা এক ব্লকের বড়মুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চান্দাই গ্রামে বাবা ও দুই ছেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ১৩ ই মে ৭৭ বছরের শক্তিপদ রায় করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা যায়। তারপর ১৬ ই মে শালবনির করোনা হাসপাতলে।
মৃত্যু হয় তার মেজ ছেলে মনমোহন রায়ের। ১৭ই মে মেদিনীপুর এর এর বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান শক্তিপদ রায় এর সেজ ছেলে গুরুপদ রায়। পরপর তিন জন করোণা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় রায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।যার ফলে গোটা পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে। স্বজনহারা রায় পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাবিবুল শেখ, ইসমাইল এর মতো মানুষেরা। তারা রায় পরিবারের হাতে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন এবং প্রতিদিন তাদের বাড়িতে গিয়ে তারা কি অবস্থায় রয়েছেন খোঁজ নিবেন এবং পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বাস দেন ।
রায় বাড়িতে চারজন শিশুসহ রয়েছে আরও কয়েকজন ।শক্তিপদ রায় এর ছোট ছেলে রামপ্রসাদ রায় বলেন বাবা ও দুই দাদা করোণা সংক্রমণে পর পর মারা যায়। যার ফলে গোটা পরিবার একেবারেই অসহায় অবস্থায় পড়েছে জানতে পেরে শেখ হাবিবুল শেখ,ইসমাইল রা এসে আমার বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে গিয়েছে বলে রামপ্রসাদ রায় জানান। তিনি বলেন ওরা এসে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা বেঁচে থাকার সাহস পেয়েছি।
গড়বেতা এক ব্লকের বিডিও শেখ ওয়াসিম রেজা ও গড়বেতা এক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন এই অতি মহামারীর সময়ে একে অপরের পাশে থাকাটা জরুরী ।সেটাই ওরা করেছেন ।যা অনুকরণযোগ্য।তবে হাবিবুল শেখ বলেন আমরা মানুষ হিসাবে। অসহায় পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি,আগামীদিনে ও এভাবেই তারা অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন বলে জানান।
No comments:
Post a Comment