ঘূর্ণিঝড় ইয়স মোকাবিলায় সোমবার দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সবং বিডিও অফিসে রাত জাগলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভূইঁয়া। দুবারের মন্ত্রী , একবারের সাংসদ , পাঁচ বারের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া নিজের জীবনে বহু ঝড়ের মোকাবিলা করেছেন । সে ঝড় কখনো রাজনৈতিক কখনো প্রাকৃতিক।
একবছর আগেই আমফানের স্মৃতি এখনো ভোলেননি। কেলেঘাই , কপালেশ্বরী নদীর পাড়ে থাকা দশগ্রাম , চাঁদকুড়ি , ভেমুয়া , তুলসীচারা , বড়চারা , দেনান-দেহাটি , বলরামপুর থেকে দুর্গত মানুষ ফোন করছেন । রাতের অন্ধকারে সেসব স্থানে গিয়ে দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করে এনেছেন ।
মানস বাবু জানান , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন কোনো মানুষের জীবন যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তা লক্ষ্য ও নজর রাখা এবং তাঁদের উদ্ধার করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
সেইমতো সোমবার রাত ১০টা থেকেই সবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য আবু কালাম বক্স , ব্লকের নেতা অজিত আদক , প্রাক্তন বিধায়ক গীতারানী ভূইঁয়া , বিডিও তুহিনশুভ্র মহান্তিকে নিয়ে ঠায় বসে থাকেন সবং বিডিও অফিসে । বৃষ্টি তখন শুরু হয়েছে খবর নিলেন কেলেঘাই , কপালেশ্বরী , চন্ডিয়া নদীর পাড়ে থাকা মানুষজনকে উদ্ধার করে স্কুল ঘরে পাঠানো হয়েছে কিনা , যাঁরা নদীর কাছাকাছি রয়েছেন মাটি বা টিনের বাড়ি তাঁদের জন্য ত্রিপল পৌঁছেছে কিনা , শুকনো খাবার , পোশাক পাঠানো হয়েছে কিনা সব খোঁজখবর নিলেন। চোখ রেখে চলেছেন টিভির পর্দায়। নবান্ন বা জেলা কন্ট্রোল রুমের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কখনো কথা বলছেন জেলা শাসক বা পুলিশ সুপারের সঙ্গে।
সবং ব্লকের ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলকার দলের নেতা কর্মীদের কাছ থেকে আপডেট খবর নিচ্ছেন। ঘন ঘন বেজে চলেছে মোবাইল । বিরক্ত হচ্ছেন না। মানস বাবু জানালেন , দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানুষের জীবন সবথেকে বেশি মূল্যবান । তখন থেকেই তিনি দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সোমবার রাত জাগার পর মঙ্গলবার দুপুর থেকে চষে বেড়িয়েছেন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে খাবার , পানীয় জল , ওষুধ , শিশু খাদ্য রয়েছে কিনা খোঁজখবর নেন। এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় যাতে সমস্যা দেখা না যায় এজন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনুরোধ করেছেন।
No comments:
Post a Comment