করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলস্বরূপ গত ১৬ মে থেকে ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ীরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। যদিও ফুলবাজারগুলি সকাল ৭টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারী নির্দেশে, কিন্তু বাজারে ফুল পৌঁছাতে গেলে যে পরিবহনের প্রয়োজন সেই পরিবহনের ক্ষেত্রে ছাড় না থাকায় ফুলব্যবসায়ীরা ফুল বাজারজাত করতে পারছিল না।
এমন অবস্থায় ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ীদের সংগঠন "সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতি"র পক্ষ থেকে গত ১৭ মে ফুল পরিবহনের গাড়িকে যাতে ছাড় দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়, হর্টিকালচার দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা , মূখ্যমন্ত্রীর পূর্বতন কৃষি উপদেষ্টা তথা বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্ধ্যোপাধ্যায় এক নির্দেশ জারি করে শুধু ফুল নয়, ফুলের সাথে সমস্ত কৃষিজ ও হাটিকালচার পণ্যকে পরিবহনের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
সমিতির সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র নায়ক রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজ্যের বৃহত্তম কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজারটি যাতে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত খোলা রেখে বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো ফুল বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
No comments:
Post a Comment