আজ ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা। তবে সাধারণ মানুষ ও শিশু-কিশোররা ঘর থেকে বের হয়েছেন। শনিবার ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাতিরঝিল ও ধানমণ্ডি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের মতো আজও রাস্তায় সাধারণ মানুষ ও শিশু-কিশোররা ঘর থেকে বের হয়েছেন। রাস্তায় যে যার মতো করে ঘুরছেন। আবার পরিবার নিয়ে অনেকেই রিকশায় করে ঘুরছেন। অনেকে আবার ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ঘুরতে বের হয়েছেন। এদিকে রমনা পার্ক বন্ধ থাকার পরও অনেকেই সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। এছাড়া হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি লেকসহ রাজধানীর নানা স্থানে মানুষদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর চিরচেনা ব্যস্ত সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। নেই মানুষের কোলাহল। নেই যানবাহনের চাপ। তবে মাঝেমধ্যে দু-একটি গণপরিবহন দেখা গেলেও তাতে যাত্রী কম। এরপরও ট্রাফিক পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে । গুটিকয়েক বাস, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখলেই হাতের ইশারায় তাদের দিক-নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে আজ ঈদের ছুটি শেষ হচ্ছে। আগামীকাল রোববার থেকে অফিস খোলা। এজন্য ঘর মুখো অনেক মানুষই আজ ঢাকামুখী হচ্ছেন। এর ফলে বিকেলে বাসগুলোতে যাত্রীদের কিছুটা চাপ লক্ষ্য করা গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের লকডাউন শুরু হয়। এরপর দু’দিন বিরতির পর আবার গত ১৪ এপ্রিল থেকে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয় সরকার। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেটা আবার বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment