আলিপুরদুয়ার থেকে দ্বিতীয় কোভিড এক্সপ্রেস ছাড়ল শুক্রবার। ১৫ জন কোভিড যোদ্ধাদের নিয়ে একটি বিশেষ বাস যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড এক্সপ্রেস এদিন সকাল নয়টা সময় আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার সামনে থেকে রওনা দেয়। এদিন রাতে এই বাসটি রায়গঞ্জে থাকবে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা। পরে বাসটি কোভিড যোদ্ধাদের নিয়ে ফের কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেবে। উল্লেখ্য এই কোভিড যোদ্ধারা একসময় নিজেরাই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন । তার পর যুদ্ধে কোভিডকে হারিয়ে নিজেরা সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। আর এই যুদ্ধ জয়ের মনোবলকে কাজে লাগানোর জন্য এই সব কোভিড যোদ্ধাদের সরকারে কাজে লাগিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মাসিক ১৫ হাজার টাকা সান্মানিকের বিনিময়ে কোভিড মোকাবিলায় তাদের কাজে লাগানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে ভালো কাজ করার ফলে কলকাতায় কোভিড মোকাবিলায় এদের ডাক পরেছে। এর আগে আলিপুরদুয়ার থেকে ১৩ জন এই রকম কোভিড যোদ্ধাকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় আরো ১৫ জনকে কলকাতায় পরিষেবার জন্য পাঠানো হল। এদিন কোভিড এক্সপ্রেস কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যাতে এই সব কোভিড যোদ্ধাদের লাল গোলাপ দিয়ে অভিনন্দন জানান জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, মহকুমা শাসক প্রীয়দর্শীনি ভট্টাচার্য্য , জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গীরিশ চন্দ্র বেরা সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তারা।
আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, “ আমাদের এই কোভিড যোদ্ধারা কোভিড মোকাবিলায় সিদ্ধ হস্ত। এরা সব কাজ জানেন। কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সময় সরকার এদের পাশে দাড়িয়েছিল। সেই কারনে এরা এখন সরকারকে সহযোগীতা করতে চায়। আর সেই কারনে তারা কলকাতায় গিয়ে কোভিড মোকাবিলায় কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। আমরা এদের জন্য গর্ব অনুভব করছি। দুবারে আমাদের জেলা থেকে মোট ২৮ জন কোভিড যোদ্ধা কলকাতায় কোভিড মোকাবিলায় কাজ করতে গেলেন।” এদিন অত্যন্ত সাহসের সাথে এই সব কোভিড যোদ্ধারা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখা গেছে। কোভিড যোদ্ধা দ্বীপ মন্ডল বলেন, “ সরকার আমাদের চিকিতসা করে সুস্থ্য করে তুলেছিল। তার পর মাসিক সান্মানিকের ভিত্তিতে আমাদের কাজের সুযোগ দিয়েছে সরকার। ফলে এখন প্রয়োজনের সময় আমরা সমাজকে আমাদের পরিষেবা দিতে চাই। সেই জন্য বিনা দ্বিধায় কলকাতায় যাচ্ছি।”
No comments:
Post a Comment