বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। নার্সিংহোম গুলির লাগামছাড়া মনোভাবে জেরবার রুগী পরিবার। চুপ নেই শিলিগুড়ির বিবেচক মহল থেকে ওয়েল ফেয়ার অর্গানাইজেশন। আর এবারে শিলিগুড়ি ইসকনের তরফেও বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আনা হলো। ইসকনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নাম কৃষ্ণ দাস জানান সমস্ত নার্সিংহোম গুলোকে সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা প্ৰয়োজন। বেসরকারি নার্সিংহোমে কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে বলেন বেসরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসার নামে রুগী পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
কেউ কেউ প্রিয়জনকে হারিয়ে আর্থিকভাবেও সম্পূর্ণ ভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন চিকিৎসার ভার বহন করতে। একটি করোনা রুগীর চিকিৎসা বাবদ ১০-১২লক্ষ টাকা বিলে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মোটা অংকের অগ্রিম ছাড়া মুমূর্ষু রুগীকে পর্যন্ত ভর্তি নেওয়া হচ্ছেনা। তিনি জানান দ্রুত সরকারের তরফে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ওপর লাগাম টানতে একটি মনিটরিং টিম গঠন করা প্রয়োজন। যে টিম প্রতি নার্সিংহোমগুলির বিলিং ও রুগী পরিষেবার ওপর নজর রাখবে। শহরের বেসরকারি হাসপাতাল গুলির যে পরিস্থিতি তাতে প্রতি বেসরকারি হাসপাতালে একজন করে মনিটরিং টিমের প্রতিনিধি রাখা দরকার। তিনি আরও বলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের চিকিৎসা ভার বহনের পরও রুগী পরিবারের ওপর বাড়তি ৮-১০লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ আদায় করছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য্য জানান পুরনিগমের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমরা বেসরকারি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। সেখানে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিলের ওপর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলো তাদের বলা হয়েছে। সবটাই নজরে রাখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment