করোনা আক্রান্ত রুগী পরিবারের চেক নিতে অস্বীকার, মৃতদেহ আটকে রেখে নগদ টাকার চাপ শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালের। তড়িঘড়ি জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে জট কাটলো। বুধবার শিলিগুড়ি কাওয়াখালীর ডিসান বেসরকারি হাসপাতালে দেহ আটকে রাখার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রুগী পরিবারের অভিযোগ বিগত ৩রা'মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিলিগুড়ির প্রথম সারির ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা সুশীল কুমার মন্ডলকে (৬৩)। রুগীর ছেলে অরিজিৎ মন্ডল জানান বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ ফোন করে জানানো হয় তার রুগীকে ভেন্টিলেশনে দিতে হবে তারজন্য তার স্বাক্ষর প্রয়োজন। এরপরই পাঁচ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি।
সে সময় হাসপাতালের তরফে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তার রুগীর মৃত্যু হয়েছে। ২লক্ষ ৬০হাজার টাকার বিল তাকে দেওয়া হয়। সেসম ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুন ইন্সুরেন্স মারফত এক লক্ষ ৭০হাজার টাকা ও বাকিটা চেকে প্রদান করে রুগীর পরিবার। আর সেই চেক নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চূড়ান্ত অমানবিকতার পরিচয় দিয়ে দেহ আটকে রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তারা চেক বিল নেবেন না তাদের নগদ টাকা সে মুহূর্তে চাই।নইলে কোনো ভাবেই পরিবারকে দেওয়া হবে না দেহ। কোনো ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় অসহায় রোগীর পরিবার তৃনমূল নেতৃত্বদের বিষয়টি জানান।
আর এরপর সে খবর জেলা শাসক এস পুনম বল্লাম এর কাছে পৌঁছতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নেন তিনি। জেলাশাসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কে গ্রহণ করে তৎক্ষণাৎ দেহ ছাড়ার নির্দেশ দেন। এমনকি কিভাবে এত টাকার বিল হল সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন জেলাশাসক। জেলা থেকে নির্দেশের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণে টেনে রুগী পরিবারকে জানায় তাদের বিল থেকে ৫০হাজার টাকা কমানো হয়েছে। রুগী পরিবার জানায় জেলা শাসকের হস্তক্ষেপেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সৎকার্যের জন্য ছাড়া হয় তাদের রুগীর দেহ।
No comments:
Post a Comment