একদিকে 'ইয়াশ' অন্যদিকে করোনা- এই পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ মেনে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ 24 পরগনায় প্রশাসনের তৎপরতায় দুর্গত মানুষদের নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন রেস্কিউ ক্যাম্পে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সব মিলিয়ে 950 টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন আয়লা সেন্টার। সবচেয়ে বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে রামনগর ১ ও ২ ব্লকে । শুধু রামনগর ১ ব্লকে ১৫২ টি ত্রাণ শিবির খোলা হচ্ছে ।
এই শিবিরে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে । রামনগর ছাড়া কাঁথি ১,২ ,খেজুরি ,নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া এলাকায় ও ত্রাণ বা আশ্রয় শিবির খোলা হচ্ছে । বিভিন্ন স্কুল ,ফ্লাড শেল্টার ,ক্লাবে এই সব আশ্রয় শিবির খোলা হচ্ছে । সব মিলিয়ে প্রায় ছয় লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ 24 পরগনায় ক্যানিং-২ ব্লকে ১৪০ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।সেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ৫ হাজার মানুষজনকে আনা হয়েছে নদীর পাড় থেকে সরিয়ে।
ক্যানিং এক নম্বর ব্লকে ৩৫ টি রেসকিউ সেন্টার খোলা হয়েছে।সেই সেন্টার গুলিতে প্রায় কয়েক হাজার মানুষজন কে রাখা হয়েছে।ইতিমধ্যে ক্যানিং-১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা ব্লক সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম পৌঁছে গিয়েছে এবং সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।গোটা সুন্দরবন জুড়ে পায় ৩ লক্ষ মানুষজন কে সরিয়ে আনার কাজ চলছে দ্রত গতিতে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাদের রেস্কিউ সেন্টারে নিয়ে আসা হচ্ছে তাদের প্রত্যেককে থার্মাল স্ক্যানিং করা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা ধরা পড়লে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। উপসর্গ না থাকলে রাখা হচ্ছে সেফহোমে। এছাড়া প্রতিটি রেসকিউ সেন্টার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে নিয়মিত। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment