করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে প্রথম যখন ভ্যাকসিনের খোঁজ পাওয়া গেলো, অনেকেই ভেবেছিলেন সাধারণ মানুষদের বরাতে কি আর জুটবে! স্বাস্থ্যকর্মী প্রশাসন প্রবীনদের সাংবাদিকদের দেওয়ার পর অবশেষে হকার ভাইদের জন্যও চালু হলো ভ্যাকসিন। গতকালই এব্যাপারে জেলা প্রশাসন চূড়ান্ত তালিকা তৈরির মাধ্যমে টিকা কেন্দ্র গুলি কে নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী আজ জেলার প্রায় 800 জন হকারদের করোনা প্রতিশোধক প্রথম টিকা দেওয়া শুরু হলো। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা সরকার হিসেবে কাজ করেছে এবং সরকারি নিবন্ধকরণ আছে এমন সংগঠনের সদস্যদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি সড়ক পরিবহনের সাথে যুক্ত ড্রাইভার, সহকারিদেরও বিনামূল্যে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভা পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে এইরকমই 100 জন হকারি পেশার সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষ প্রতিশেধক নিলেন।
তারা অনেকেই, কাঁচা আনারস বিক্রি করেন বাজারে, কেউবা রেল কম্পার্টমেন্টের হকারি করেন, কারোর বা ফলের দোকান, অনেকে আবার বিভিন্ন স্কুল বা পার্কের সামনে আলু কাবলি, ছোলা ,ফুচকা, আচার বিক্রি করে থাকেন। তারা জানালেন প্রথম যখন ভ্যাকসিনের কথা শুনি, কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি আজ বিনামূল্যে তা আমরা পাবো। সরকারি এই ব্যবস্থার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে জানান, অর্থ দিয়ে কিনতে হলে কোনদিনই পারতাম না! মৃত্যুর হাত থেকে হয়তোবা বাঁচলাম কিন্তু, উপার্জনের রাস্তা একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! তবুও মন্দের ভালো, একটা দুশ্চিন্তা কমলো! বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে, এবং গোটা কর্মদিবস রাতের ঘুমের সময় নষ্ট করার থেকে এখানে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।
No comments:
Post a Comment