হত্যা মামলায় এবার পরিবারের কাছে প্রমাণ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : কলকাতার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বক্তব্য। কবে কোথায় টাকা দিতে বলা হয়েছে তার প্রমাণ দেখাতে নির্যাতিতার পরিবারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি কোথায় টাকার কথা বলেছি তার প্রমাণ পেশ করতে হবে নির্যাতিতার পরিবারকে। এটা নাটক ও অপপ্রচার।' আসলে ওই মহিলা শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের পরিবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছে, যখন তাদের মেয়ের মরদেহ তাদের সামনে রাখা হয়েছিল, তখন এক পুলিশ আধিকারিক তাদের টাকা দিয়েছিলেন।
নির্যাতিতার বাবা-মা জানিয়েছেন, তারা মরদেহ নিরাপদে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের উপর অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল। শতাধিক পুলিশ তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যার পরে আমরা শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুত হতে বাধ্য হয়েছিলাম। সবকিছুই তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছিল, এমনকি শেষকৃত্যের জন্যও পরিবার থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। কিছু পুলিশ সদস্য ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে, যা তারা ছিঁড়ে ফেলে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে মমতা সরকারকে আক্রমণ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। বিজেপি বলছে, সংবিধান রক্ষাকারী ও ধ্বংসকারীর মধ্যে লড়াই চলছে। বিজেপি দাবি করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পলিগ্রাফ টেস্ট করা উচিত। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কলকাতা আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখানে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা মামলার শুনানি হয়। এরই মধ্যে আদালত বড় আদেশ দিয়েছেন। আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেছেন আদালত। যেসব চিকিৎসক কাজে ফিরছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রকৃতপক্ষে, বঙ্গ সরকার শুনানির সময় বলেছিল যে ডাক্তাররা কাজ না করার কারণে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৮-৯ আগস্ট রাতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে একজন প্রশিক্ষণার্থী মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। হাসপাতালের সেমিনার হলে তাকে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে কলকাতাসহ সারা দেশে। চিকিৎসকরা ধর্মঘটে গিয়ে কলকাতার মেয়ের জন্য ন্যায়বিচারের আর্জি জানাতে থাকেন। রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। একই সঙ্গে মামলার বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
No comments:
Post a Comment