হাঁস পালনের লাভজনক ২ পদ্ধতি - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Wednesday 14 August 2024

হাঁস পালনের লাভজনক ২ পদ্ধতি

 


হাঁস পালনের লাভজনক ২ পদ্ধতি




ব্রেকিং বাংলা নিউজ ডেস্ক, ১৪ আগস্ট: বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হাঁস-মুরগি পালন পদ্ধতিরও যথেষ্ট উন্নয়ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটেছে। যদিও গ্রামাঞ্চলের অথবা যারা অল্প সংখ্যায় হাঁসমুরগি পালন করে থাকেন তারা চিরাচরিত পদ্ধতিগুলিতেই এগুলো লালন পালন করেন। কিন্তু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামারে পালন করতে হলে অবশ্যই আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগি পালন করতে হবে। তা না হলে কাঙ্খিত পরিমাণে ডিম বা মাংস উৎপাদন হবে না। 


খামার থেকে পর্যাপ্ত উৎপাদন পেতে প্রতিটি খামারিকে অবশ্যই খামার ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি বিষয়ে সঠিকভাবে নজর দিতে হবে। আমার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সীমিত জ্ঞানে পোল্ট্রি থেকে কাঙ্খিত উৎপাদন পেতে সমস্যা হতে পারে। ফলে এই ব্যবসা লাভজনক হবে না। আর এতে করে অনেকেই খামার করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। আর তাদের দেখাদেখি খামার গড়তে আগ্রহী ব্যক্তিরাও খামার করতে চান না। 



হামারিরা যদি খামার ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করেন ও সেই অনুযায়ী সঠিকভাবে খামারের প্রতিদিনের কাজকর্ম সম্পাদন করেন, তবে সহজেই সমস্যা কাটিয়ে খামারাকে আর্থিকভাবে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর একটা কথা মনে রাখা জরুরি, যে কোনও ছোটখাটো অবহেলা বা ভুল-ত্রুটি খামারের ক্ষতির জন্য যথেষ্ট। এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যায় হাঁস পালনের কয়েকটি লাভজনক পদ্ধতি সম্পর্কে। ‌


হার্ডিং পদ্ধতি

এই পদ্ধতি বাড়ন্ত ও বয়স্ক হাঁস পালনের জন্য উপযোগী। এক্ষেত্রে হাঁসের নির্দিষ্ট কোনও ঘর থাকে না। হাঁসগুলো দল বেঁধে সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। একটি দলের সাধারণত ১০০ থেকে ৫০০ টি হাঁস থাকে। সন্ধ্যায় এদের একটি খাঁচি বা অন্য কোনও ভাবে কোন উঁচুস্থানে আবদ্ধ করে রাখা হয় এবং সকালে ডিম সংগ্রহ করে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। হাঁসগুলোর তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত থাকেন একজন মানুষ।


প্রাকৃতিক উৎস থেকে যেসব এলাকায় বেশি খাদ্য পাওয়া যায়, যেমন ফসল কাটা জমি সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় হাঁসগুলোকে। ঐ এলাকায় কিছুদিন পালন করার পর খাদ্যাভাব দেখা দিলে আবার নিয়ে যাওয়া হয় নতুন স্থানে। এই পদ্ধতিতে খাদ্য খরচ নেই বললেই চলে। তবে বিভিন্ন রোগ ও চুরির সম্ভাবনা থাকায় এই পদ্ধতিতে পালিত হাঁসের ১০ থেকে ১৬ শতাংশ মারা যেতে পারে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের কোনও কোনও স্থানে এই পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা হয়ে থাকে।


খাঁচা পদ্ধতি

এই পদ্ধতিতে হাঁস পালন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বিশেষ করে শহর এলাকার বাড়িতেও এই পদ্ধতিতে হাঁস পালন খুব সুবিধা জনক। বিভিন্ন বয়সের হাঁস পালনের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাঁচা রয়েছে। হাঁসের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও জল সরবরাহের জন্য খাঁচায় বিশেষ ডিজাইনের খাদ্য ও জলের পাত্র লাগানো থাকে। প্রতিটি খাঁচার সামনের দিকে বর্ধিত অংশ থাকে যেখানে খাঁচায় পাড়া ডিম গড়িয়ে গড়িয়ে এসে জমা হয়। এছাড়াও খাঁচার মেঝে তার জ্বালি দিয়ে তৈরি করা হয় বলে মেঝের ফাঁক দিয়ে হাঁসের বিষ্ঠা সহজেই নিচে বিষ্ঠা সংগ্রহের ট্রেতে গিয়ে পড়ে। খাঁচা তৈরিতে লোহার তার অ্যাঙ্গেল লোহা, কাঠ, প্লাস্টিক এমনকি বাঁশও ব্যবহার করা হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad