কিডনি সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই ৫ জিনিস
লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ আগস্ট: কিডনি রোগ একটি গুরুতর সমস্যা, যাতে কিডনি ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে, সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য কিডনির জন্য কার্যকর, যা কিডনির স্বাস্থ্যকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করতে পারে। আসুন জেনে নেই কীভাবে আমরা আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে ছোটখাটো পরিবর্তন করে কিডনি রোগ এড়াতে পারি।
জলের পরিমাণ:
সঠিক পরিমাণে জল পান কিডনির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলের সাহায্যে এটি শরীরে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিৎ। সঠিক পরিমাণে জল পান করলে কিডনি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
লবণ খাওয়া কমান:
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। এর জন্য সর্বোত্তম সমাধান হ'ল আপনার প্রতিদিনের খাবারে যদি দুর্ঘটনাক্রমে লবণ কম থাকে তবে আপনার আলাদা করে লবণ যোগ করার অভ্যাস এড়ানো উচিৎ।
স্বাস্থ্যকর খাবার:
কিডনি রোগীদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। খাবারে বেশি প্রোটিন, কম চর্বি এবং কম লবণ থাকা উচিৎ। আপনার খাদ্যতালিকায় ভালো পরিমাণে তাজা ফল, শাকসবজি, ডাল, শস্য এবং দুধ অন্তর্ভুক্ত করুন।
প্রোটিনের উৎস:
কিডনি রোগীদের ভালো প্রোটিনের সঠিক উৎস বেছে নেওয়া উচিৎ। ভালো প্রোটিন উত্স দুধ, পনির, ডাল, ডিম এবং সয়া পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে দুগ্ধজাত খাবার যেমন দুপুরের খাবারের সাথে এক বাটি দই এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ।
ডাক্তার এবং খাদ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ:
সময়ে সময়ে আপনার ডাক্তার এবং খাদ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। তারা আপনার শরীর, বয়স এবং রোগের মাত্রা বিবেচনা করে সঠিক খাদ্য সম্পর্কে আরও ভালো পরামর্শ দিতে সক্ষম হবে। তারা আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সঠিক ডায়েট সম্পর্কে পরামর্শ দেবে এবং আপনাকে সঠিক উপায়ে কীভাবে খাবার খেতে হবে তা বলবেন।
সঠিক ডায়েট
একজন কিডনি রোগীর জন্য সঠিক ডায়েট অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবারের সাহায্যে তারা তাদের কিডনির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে। অতএব, একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং সুস্বাস্থ্য উপভোগ করুন। আপনার দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনুন, প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, কম লবণ খান, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খান এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।
No comments:
Post a Comment