বিশ্বের যে ৫টি ব্রিজ দুটি মহাদেশকে সংযুক্ত করেছে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ আগস্ট : প্রযুক্তির বিকাশের সাথে, আমরা সারা বিশ্বে এমন অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় দেখতে পাচ্ছি, যা আশ্চর্যজনক। সাগরে সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কারণে। পৃথিবীতে এমন অনেক সেতু রয়েছে যা দুটি দেশকে সংযুক্ত করে, কিন্তু আপনি কি সেই সেতুগুলির কথাও শুনেছেন যা দুটি মহাদেশকে সংযুক্ত করেছে। আসুন জেনে নেই এমন ব্রিজগুলো কোথায় আছে-
আন্তঃমহাদেশীয় সেতু:
দুটি মহাদেশের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করা একটি খুব কঠিন কাজ, কারণ পৃথিবীর এই বিশাল এলাকাগুলি সাধারণত সমুদ্র দ্বারা পৃথক করা হয় এবং সমুদ্রের উপর একটি সেতু তৈরি করা সহজ কাজ নয়। বিশ্বের ৪টি আন্তঃমহাদেশীয় সেতু তুরকিয়ের ইস্তাম্বুল শহরে রয়েছে।
বসফরাস সেতু:
বসফরাস ব্রিজটিকে তুর্কি শহর ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে আইকনিক সেতু বলে মনে করা হয়। এই সেতুটি ১৯৭৩ সালে বসফরাস প্রণালীর উপর নির্মিত হয়েছিল যা এশিয়া ও ইউরোপকে সংযুক্ত করে। যেহেতু ইস্তাম্বুলের এলাকাটি উভয় মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত তাই এই সেতুর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়।
ফাতিহ সুলতান মেহমেত সেতু:
ফাতিহ সুলতান মেহমেত সেতুর নির্মাণ কাজ ১৯৮৮ সালে সম্পন্ন হয়েছিল, এটিকে দ্বিতীয় বসফরাস সেতুও বলা হয়। ইস্তাম্বুলের এই ঝুলন্ত সেতুর দৈর্ঘ্য ১৫১০ মিটার যা বসফরাস প্রণালী অতিক্রম করে এশিয়া ও ইউরোপকে সংযুক্ত করে।
ইয়াভুজ সুলতান সেলিম সেতু:
ইয়াভুজ সুলতান সেলিম সেতু, 'তৃতীয় বসফরাস সেতু' নামেও পরিচিত, বসফরাস প্রণালীর উপর এবং কৃষ্ণ সাগরের প্রবেশ বিন্দুতে নির্মিত। ২১৬৪ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি ২০১৬ সালে সম্পন্ন হয়েছিল এবং এশিয়া ও ইউরোপকে সংযুক্ত করেছে।
১৯১৫ চানাক্কালে ব্রিজ:
১৯১৫ কানাক্কালে ব্রিজটি তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরেও রয়েছে, যদিও এটি দারদানেলেস প্রণালীর উপর নির্মিত। এই ঝুলন্ত সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৬০৮ মিটার যা ২০২২ সালে সম্পূর্ণ হয়েছিল, এটি এশিয়া ও ইউরোপকেও সংযুক্ত করে।
সুয়েজ খালের সেতু:
মিশরে বর্তমান 'সুয়েজ ক্যানাল ব্রিজ' 'মিশর-জাপানিজ ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ', 'আল সালাম ব্রিজ' এবং 'মুবারক পিস ব্রিজ' নামেও পরিচিত। এই সড়ক সেতুটি সুয়েজ খাল অতিক্রম করেছে যা ৩.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২০০১ সালে খোলা হয়েছিল। এটি এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ নিয়ন্ত্রণ করে।
No comments:
Post a Comment