ঘূর্ণিঝড় আসান নিয়ে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ আগস্ট : গোঁদের ওপর বিষ ফোঁড়া এমনটাই অবস্থা গুজরাটের। ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে গুজরাটে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আসনার হুমকি এখন গুজরাটের ওপরে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি তার বিবৃতিতে বলেছে, 'গুজরাটের সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, যা শুক্রবার আরব সাগরের উপরে উঠে ওমান উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।' এই সময়ের মধ্যে, আগামী দুদিন গুজরাট এবং উত্তর মহারাষ্ট্রের উপকূল বরাবর সমুদ্র এলাকায় ৬০-৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার জোরে বাতাস বয়ে যেতে পারে। মৎস্যজীবীদের আগামী কয়েকদিন সাগরে না যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, আগস্টে ১৯৭৬ সালের পর আরব সাগরে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড় হবে। সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার উপর দিয়ে তৈরি হয়েছিল। এর পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। তবে এই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম আরব সাগরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আইএমডির মতে, আগস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের বিকাশ একটি বিরল কার্যকলাপ। ১৯৪৪ সালেও এই সময়ে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় এবং উত্থানের পর তীব্র আকার ধারণ করে। যদিও পরে তিনি সমুদ্রের মাঝখানে দুর্বল হয়ে পড়েন। এছাড়াও, ১৯৬৪ সালে দক্ষিণ গুজরাট উপকূলের কাছে একটি ছোট ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল, যা উপকূলের কাছে দুর্বল হয়ে পড়ে। গত ১৩২ বছরে, আগস্ট মাসে বঙ্গোপসাগরে এই ধরনের মোট ২৮টি সিস্টেম তৈরি হয়েছে।
তথ্য প্রদান করে, আইএমডি আরও বলেছে যে এই ঝড়ের সবচেয়ে অস্বাভাবিক বিষয় হল যে অনেক দিন ধরে এর তীব্রতা কমেনি। এর জেরে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছের ওপর তৈরি হচ্ছে গভীর চাপ। এ কারণে এ এলাকায় ভারী বর্ষণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment