মৃত্যুর ৪৮ বছর পরও এই সৈনিক দেশকে রক্ষা করেন
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ আগস্ট : আমাদের দেশের সৈন্যরা সর্বদা শত্রুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে, তবে এমন একজন সৈনিক আছে যিনি ৪৮ বছর মৃত্যুর পরেও দেশকে রক্ষা করছেন। তিনি হলেন হরভজন সিং,এখনও সিকিম সীমান্তে দেশ রক্ষা করছেন। শুধু তাই নয়, এই সীমান্তে তাঁর একটি মন্দিরও নির্মিত হয়েছে। যেখানে সৈন্যরা দর্শন করতে যায় এবং তাদের দেখভালও করে। হরভজন সিংয়ের ভয় এতটাই যে তার নাম শুনে শত্রুরাও ভয় পায়। সৈন্যরা বিশ্বাস করে যে হরভজন সৈন্যদের চীনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আগাম জানিয়ে দেয়।
চীনা সৈন্যরাও বাবা হরভজন সিং এর আত্মাকে বিশ্বাস করে এবং তাকে ভয় পায়। সৈন্যরা যখন বাবা হরভজন সিংয়ের মন্দিরে যায়, তারা তার উপস্থিতি অনুভব করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে যখনই ভারত ও চীনের মধ্যে বৈঠক হয়, তখনই বাবা হরভজন সিংয়ের জন্য একটি চেয়ার খালি রাখা হয়, যাতে তিনিও দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন।
সিকিম সীমান্তে মোতায়েন সৈন্যরা বলছেন যে তার মৃত্যুর পরেও বাবা সীমান্তে তার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এর জন্য বাবা হরভজন সিংকেও উপযুক্ত বেতন দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীতেও তার পদ আছে। কিছুদিন আগেও তাকে ছুটিতে পাঞ্জাবের নিজ গ্রামে পাঠানো হয়েছিল। তবে কেউ কেউ এ বিষয়ে আপত্তি জানালে তাদের ছুটিতে পাঠানো থেকে বিরত রাখা হয়। এখন বাবা প্রতি বছর বারো মাস ডিউটিতে থাকেন।
জানলে অবাক হবেন যে মন্দিরে বাবারও একটি ঘর আছে, যেখানে প্রতিদিন বিছানা পরিষ্কার করা হয়। বাবার সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম এবং জুতো একই ঘরে রাখা হয়েছে। লোকেরা বলে যে প্রতিদিন পরিষ্কার করা সত্ত্বেও, তার জুতোয় কাদা পাওয়া যায়।
বাবা হরভজন সিং কে ছিলেন?
হরভজন সিং ১৯৪৬ সালের ৩০ আগস্ট গুজরাওয়ালায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাত্র দু বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে পেরেছিলেন এবং দুবছর পর সিকিমে এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
আসলে, একদিন বাবা হরভজন সিং খচ্চরে চড়ে নদী পার হচ্ছিলেন, তখন নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যান। তার দেহ নদীর জলে ভেসে যায়, দুদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর পর হরভজন সিং একজন সৈনিকের স্বপ্নে এসে তাকে তার মৃতদেহের কথা জানান। পরের দিন যখন সেই সৈনিক অন্য সৈন্যদের সাথে একই জায়গায় যায়, তারা হরভজন সিংয়ের মৃতদেহ দেখতে পায়। তখন থেকেই বাবা হরভজন সিংয়ের বাঙ্কারটি মন্দিরে রূপান্তরিত হয়।
No comments:
Post a Comment