যেন বাবার শাসন চলছে, বিজেপির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ শত্রুঘ্ন সিনহার - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Monday 19 August 2024

যেন বাবার শাসন চলছে, বিজেপির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ শত্রুঘ্ন সিনহার

 


যেন বাবার শাসন চলছে, বিজেপির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ শত্রুঘ্ন সিনহার 



নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : সম্প্রতি কলকাতার এক মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে নিষ্ঠুরতার সব সীমা ছাড়িয়ে যায়।  ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ওই নারী চিকিৎসককে।  এই ঘটনা পুরো দেশকে স্তম্ভিত করেছে।


 এ ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।  বলিউড সেলিব্রিটিরাও ক্রমাগত মৃত ডাক্তারের সমর্থনে পোস্ট করছেন এবং তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।  এখন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহাও এই বিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করেছেন।  তবে, তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে এই বিষয়ে বাংলার রাজ্য সরকারকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন।


 গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়।  এই মেডিক্যাল কলেজের সামনে বিক্ষোভ করে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি (টিএমসি) প্রতিবাদ জানায়।  এই প্রতিবাদে শত্রুঘ্নও অংশ নেন।  এটি লক্ষণীয় যে শত্রুঘ্ন আসানসোল আসন থেকে তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ।


 প্রতিবাদের সময় শত্রুঘ্ন সিনহা তার বক্তৃতায় বলেন, 'আমরা সন্দেশখালীকে ভুলব না, এই লোকেরা বলেছিলেন যে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সন্দেশখালীতে এমন কাজ করছেন এবং তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন, যেন তাদের বাবার শাসন চলছে।  ওদের অহংকার দেখুন, ওরা বলত এবার চারশো পার হবে।  বাজার থেকে কিনবেন?  ছাড়ো চারশো ছাড়িয়ে।  ৩০০ নয়, ২৫০ও আসতে পারেনি।


 অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ আরও বলেন, 'যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই খারাপ।  আমি সেই পরিবার এবং ডাক্তারের সাথে আছি।  একটা সময় ছিল যখন আমিও ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি।  আমার ভাইও একজন ডাক্তার।  আমি চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করছি, কোনো গরীব অসুস্থ হলে চিকিৎসকরা কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন?


 অভিনেতা আরও বলেন, 'চিকিৎসকরা এখন কেন্দ্রীয় সুরক্ষা আইনের অধীনে তাদের সুরক্ষা দাবি করছেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এতে কী করতে পারেন?  এখানে অনেক ভুয়ো খবর চলছে।  হোয়াটসঅ্যাপে বলা হচ্ছে, ভিকটিমের গলার হাড় ভেঙে গেছে।  এসবের পেছনে কি দিল্লির কাজ?


 নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।  বাংলাকে টাকা দেওয়া হয়নি, তাই তারা ভেবেছিল যে এই লোকেদের টাকা চাওয়া উচিত নয়, তাই কি মনোযোগ সরানোর জন্য এই সব হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে?  চারিদিকে বিক্ষোভ চলছে।  আমাদের সমবেদনা নিহতের পরিবারের সাথে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad