'মোরগ' তাড়াতে পুলিশি হস্তক্ষেপ
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ আগস্ট : কানপুরের একটি অদ্ভুত মামলা নিয়ে হৈচৈ আলোচনা শুরু হয়েছে। আসলে শহরের একটি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। প্রচণ্ড লাঠিচার্জ হয়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও হট্টগোলের কারণ ছিল মোরগ।
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। লোকালয় থেকে একটি মোরগ এমনভাবে ধাক্কা দেয় যে সামনের ব্যক্তি আহত হয় এবং তারপর উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। মোরগের এই কর্মকাণ্ডে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ মোরগটিকে আটকে রাখার নির্দেশ দেয়।
কানপুরে, একটি মোরগের ঠোঁট মারার অভ্যাস এবং তার লড়াইয়ের প্রকৃতি একটি লোকালয়ে দুটি দলকে মুখোমুখি করেছিল এবং উভয় পক্ষই লাঠি দিয়ে মারামারি শুরু করেছিল। হৈচৈ এতটাই বেড়ে যায় যে পুলিশকে এ ব্যাপারে আসতে হয়। আসলে, বিথুর থানা এলাকায় বসবাসকারী এক ব্যক্তির পোষা মোরগ এমন তোলপাড় সৃষ্টি করে যে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল।
ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ বকরিদির পোষা মোরগ পাশের বাসিন্দা ইরশাদকে খোঁচা দেয়, এতে ইরশাদ আহত হয় এবং মোরগের এই কর্মকাণ্ডে তারা একে অপরের সাথে মারামারি শুরু করে। মোহাম্মদ বকরিদির মোরগ যখন খোলা অবস্থায় থাকে, তখন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকা লোকদের খোঁচা মেরে আহত করার অভ্যাস রয়েছে। এই মোরগটি মোরগ লড়াই খেলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল, কিন্তু খাঁচা থেকে বের হলে এটি আশেপাশের লোকজনকে খোঁচা মারতে শুরু করে, যার কারণে ইতিমধ্যে অনেক লোক আহত হয়েছে।
একই সময়ে এই মোরগটি ওই এলাকার বাসিন্দা ইরশাদকেও খোঁচা দেয়, এতে সে আহত হয়। মোরগের ঠোঁটে আহত ইরশাদ ক্ষিপ্ত হয়ে মোহাম্মদ বকরিদির সঙ্গে মারামারি শুরু করেন। তিনি বলেন, যেহেতু মোরগের আচরণ জানতেন, তাই তাকে খাঁচায় রাখা উচিত ছিল কারণ এটি খোলা জায়গায় মানুষের ক্ষতি করে। যার জেরে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং লাঠিসোঁটা বাড়তে থাকে, পরে আঞ্চলিক পুলিশকে আসতে হয়। মোরগের কথা শুনে পুলিশও অবাক হলেও শান্তি ভঙ্গের দায়ে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ মোরগের মালিককে ওই খাঁচায় রাখার নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে কল্যাণপুরের এসিপি অভিষেক কুমার জানান, মোরগ ঠেকানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়, পুলিশ সেখানে পৌঁছে উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং মোরগ ঠেকানোর বিষয়ে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই কথা মাথায় রেখে মোরগের মালিককে খাঁচায় রাখার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment