'সন্দীপ ঘোষের মতো আমি আর কোনও দুর্নীতিবাজকে দেখিনি: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা : কলকাতা ধর্ষণ-খুন মামলা নিয়ে সারা দেশে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও ক্রমাগত স্ক্যানারে রয়েছেন। গত ৬ দিন ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যস্ত সিবিআই। এদিকে হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আখতার আলি এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে অনেক চমকপ্রদ দাবি করেছেন। আখতার আলী অভিযোগ করেছেন যে কলকাতা ধর্ষণ-খুন মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় আগে সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তার অংশ ছিলেন এবং তাঁর বাউন্সার ছিলেন।
এছাড়া আখতার আলীর বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্যকর অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে বেআইনি কার্যকলাপ ছাড়াও, সন্দীপ ঘোষ দাবিহীন মৃতদেহ বিক্রির মতো কার্যকলাপেরও অংশ ছিলেন। তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বায়োমেডিকেল বর্জ্য পাচার করতেন। তিনি এ বিষয়ে ভিজিল্যান্স কমিটির কাছে অভিযোগও করেছেন বলে দাবি করেন। তিনিও তদন্তে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে দু ঘণ্টার মধ্যে তাকে বদলি করা হয়। শুধু তাই নয়, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলী বলেন, ধর্ষণ মামলার পর সঞ্জয় রায়কে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারি তিনি সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তায় জড়িত। তিনি বলেন, আমি যখন হাসপাতালে কাজ করতাম তখন কাউকে নার্সিং রুম বা সেমিনার রুমে যেতে দেওয়া হতো না। সর্বত্র নিরাপত্তা এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যে রাতে হঠাৎ একজন স্বেচ্ছাসেবক রুমে ঢুকে এত বড় ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, এটাও বড় ষড়যন্ত্র হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে ৬৪ ঘণ্টা জেরা করেছে সিবিআই। বিষয়টি নিয়ে চারদিক থেকে তাকে ঘিরে রয়েছে। আখতার আলী আরও বলেন, ২০০৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত হাসপাতালে আরজি হিসেবে কাজ করেছি। সে সময় অনেক প্রিন্সিপাল এসেছিলেন। কিন্তু সন্দীপ ঘোষের মতো দুর্নীতিবাজকে দেখিনি। ২০২১ সালে তাকে নিয়োগ দেওয়া হলে হাসপাতালের ধ্বংসলীলা শুরু হয়। টাকার জন্য ছাত্রদের ফেল করা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে অনেকবার ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখালেও কিছুই হয়নি।
No comments:
Post a Comment