বালকেশ্বর মন্দির, ৭০০ বছরের পুরনো, পাওয়া যায় এভাবে
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৬ অগাস্ট : সারা ভারতে ভগবান শিবের অনেক প্রাচীন এবং অলৌকিক মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে একটি মন্দির রয়েছে যেখানে শিবলিঙ্গটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো বলে জানা গেছে।
এই বালকেশ্বর মহাদেব মন্দির কোথায়?
আগ্রার নাম উঠলেই প্রথম যে ছবিটি আমাদের মাথায় আসে তা হল তাজমহল। তবে তাজমহল ছাড়াও আগ্রায় অনেক প্রাচীন ও বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। কৈলাশ মহাদেব, রাজেশ্বর মহাদেব, পৃথ্বীনাথ, মানকামেশ্বরের মতো এখানেও বালেশ্বর মন্দির নামে একটি মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরটি তাজমহল থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে উত্তর প্রদেশের রাজওয়াড়ার কৈলাশ নগর, অলকেশ্বর ঘাট ভাসানে অবস্থিত।
কীভাবে পাওয়া যায় শিবলিঙ্গটি :
বালকেশ্বর মহাদেব মন্দির যে স্থানে অবস্থিত, সেখানে আগে বিল্বপত্র অর্থাৎ বেলপত্র গাছের বন ছিল বলে জানা যায়। প্রায় ৭০০ বছর আগে যখন জঙ্গল কাটা হয়েছিল, তখন এখানে একটি অলৌকিক শিবলিঙ্গ ও মন্দির পাওয়া গিয়েছিল। বেলপাত্র বনে অবস্থানের কারণে মন্দিরটিকে বিল্বকেশ্বর মহাদেব মন্দির বলা হত। এখন এই মন্দির বাল্কেশ্বর মহাদেব মন্দিরে পরিণত হয়েছে। আজও যমুনা এই মন্দিরের পাশ দিয়ে যায়।
প্রতিটি ইচ্ছা ৪০ দিনে পূরণ হয়:
মন্দিরের সাথে যুক্ত একটি বিশ্বাস আছে যে কোন ভক্ত এখানে বাবা মহাদেবকে সত্যিকারের চিত্তে পূজা করেন, তার প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হয়। এই মন্দিরে, চন্দন এবং জাফরান দিয়ে ভগবান শিবের পবিত্রতা ও অলংকরণ করা হয়। যা ভক্তদের প্রসাদ হিসেবেও বিতরণ করা হয়। ভক্ত লক্ষ্মী জানান, বাবা বলকেশ্বর মহাদেবও বিশ্বাস করেন যে কোনও ভক্ত যে বাবার দরবারে টানা ৪০ দিন আসেন, বাবা বালকেশ্বর নাথকে জল দেন, পূজা-অর্চনা করেন, তার মনস্কামনা পূরণ হয়।
রয়েছে অনন্য শ্রিংগার:
বালকেশ্বর মন্দিরের বিশেষ আকর্ষণ হল শিবলিঙ্গের অপূর্ব অলঙ্করণ। মন্দিরে, চন্দন এবং জাফরান দিয়ে ভগবান শিবের অলংকরণ করা হয়। এর প্রসাদ ভক্তদের দেওয়া হয়।
বালকেশ্বর মন্দিরে প্রতিদিন শিবলিঙ্গ সজ্জিত করা হন। এর পাশাপাশি মেলারও আয়োজন করা হয়। এতে মেলায় ৭০ কোস প্রদক্ষিণ শুরু হয়। যা কৈলাস ও পৃথ্বী মন্দিরের মধ্য দিয়ে গিয়ে বালকেশ্বর মন্দিরে গিয়ে থামে। কথিত আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই পরিক্রমার প্রথা চলে আসছে।
No comments:
Post a Comment