এবার ঘরে বসেই তৈরি করুন প্রোটিন হেয়ার মাস্ক
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ জুলাই : সারাদিন ধুলো, মাটি, দূষণ এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শে থাকার কারণে আমাদের চুল খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক ও প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। এ কারণে চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কেউ কেউ শ্যাম্পু ও হেয়ার সিরামের আশ্রয় নেন। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশকে মজবুত করার জন্য যেমন প্রোটিন প্রয়োজন, তেমনি প্রোটিনও চুলের মজবুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র চুলকে মজবুত করে না বরং এর গঠনও উন্নত করে। আপনার চুলের সৌন্দর্য এবং শক্তি বাড়াতে, আপনাকে ব্যয়বহুল কিছু খরচ করতে হবে না, পরিবর্তে আপনি রান্নাঘরে রাখা কিছু ন্যূনতম জিনিস ব্যবহার করতে পারেন।
রান্নাঘরে রাখা কিছু জিনিসের সাহায্যে চুলের জন্য প্রোটিন হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। আজ এই নিবন্ধে আমরা এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে জানবো যার সাহায্যে আপনি ঘরে বসে আপনার চুলের অবস্থার উন্নতি করতে পারেন। আসুন জেনে নেই কিভাবে ঘরে বসে প্রোটিন হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যাবে-
কেন প্রোটিন চুল চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ?
প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট চুলের কিউটিকেলে হাইড্রোলাইজড প্রোটিন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এটি আপনার চুলকে ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে। সেই সঙ্গে ঘোরের সমস্যাও দূর হয়। আপনি যদি স্প্লিট এন্ডের সমস্যায় অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। তবে এর জন্য আপনাকে পার্লারে গিয়ে দামি টাকা খরচ করার দরকার নেই, বরং আপনি কিছু জিনিসের সাহায্যে ঘরে বসে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন।
চুল স্বাস্থ্যকর করতে এই প্রোটিন হেয়ার মাস্ক লাগান-
অ্যাভোকাডো এবং নারকেল দুধের চুলের মাস্ক:
নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। অ্যাভোকাডোতে প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার এবং ভিটামিন এ, সি এবং ই পাওয়া যায়। এটি চুলের কোলাজেন বাড়ায়, যা তাদের শক্তি এবং বৃদ্ধি উভয়ই বাড়ায়। এই হেয়ার মাস্কটি তৈরি করতে, ৪ চামচ অ্যাভোকাডো, ২ চামচ নারকেল তেল এবং এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি সামান্য ভেজা চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করার সময় মাথা ধুয়ে ফেলুন।
দই এবং ডিম ব্যবহার :
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, এর ব্যবহার চুলকে মসৃণ ও চকচকে করে। সেই সঙ্গে দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে যা চুলকে মজবুত করতে কাজ করে। এই হেয়ার মাস্কটি সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন চুলের কন্ডিশনের জন্য। এটি তৈরি করতে, ৪ চামচ দইয়ের সাথে ডিমের সাদা অংশ মেশান। এবার ব্রাশের সাহায্যে মাথার ত্বক থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এটি লাগালে অবশ্যই পার্থক্য দেখতে পাবেন।
No comments:
Post a Comment