ভোলেনাথের এই মন্দির, যাঁর নিছক দর্শনে সব ইচ্ছে পূরণ হয়!
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২৫ জুলাই : জ্যোতির্লিঙ্গ নামে পরিচিত ভগবান শিবের প্রধান মন্দিরগুলি দেশের অনেক রাজ্যে রয়েছে। ভগবান শিব উত্তরপ্রদেশের কাশীতে তাঁর ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের আকারে বাস করেন। এখানকার সমস্ত প্রাচীন শিব মন্দিরের নিজস্ব পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে। কাশীর এমনই এক অনন্য মন্দির হল ওমকারেশ্বর মন্দির। এটি ভগবান শিবের একটি অতি প্রাচীন মন্দির যা ব্রহ্মার অনুরোধে স্বয়ং ভগবান শিব তৈরি করেছিলেন।
এই শিব মন্দিরটি নিজেই অত্যন্ত অতিপ্রাকৃত। এখানে যেকোন ভক্ত যদি সত্যিকারের চিত্তে শিবের পূজা ও অভিষেক করেন, তাহলে তিনি কাঙ্খিত ফল লাভ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে এখানে পূজা করলে ভগবান সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তদের যানজট থেকে মুক্ত করে মুক্তি দেন। কাশী অংশে এই ওমকারেশ্বর মন্দিরের প্রমাণ পাওয়া যায়।
শিবপুরাণে উল্লেখ পাওয়া যায়:
কাশী খণ্ডের ৮৬তম অধ্যায়ে এই মন্দিরের কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিব মহাপুরাণে ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের রূপ ও মাহাত্ম্যের কাহিনী দেওয়া হয়েছে। কথিত আছে যে এখানে শিব পঞ্চায়েতের পাঁচটি প্রতীক ছিল, কিন্তু বর্তমানে তিনটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে যার মধ্যে আকরেশ্বর, ওমকারেশ্বর এবং মকরেশ্বর। কাশীর আভিমুক্ত এলাকায় ওমকারেশ্বরের সবচেয়ে ভালো স্থান রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরে গেলে মহাবিশ্বের সমস্ত শিব মন্দির দেখার মতোই ফল পাওয়া যায়।
ব্রহ্মার অনুরোধে মহাদেব আবির্ভূত হলেন:
এই মন্দির সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে ব্রহ্মা স্বয়ং এখানে বসে তপস্যা করেছিলেন। সৃষ্টির সৃষ্টির পর তিনি ভগবান শিবের কাছে অনুরোধ করেন যার পর ভোলেনাথ এই স্থানে ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হন। মন্দিরে গিয়ে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment