গুরু পূর্ণিমার উদযাপনের গল্প জেনে নিন
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৫ জুলাই : সনাতন ধর্মে গুরু পূর্ণিমার গুরুত্ব বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি একটি ঐতিহ্য যে এই দিনে শিষ্যরা তাদের গুরুদের পূজো করে। বিশেষ করে গুরু পূর্ণিমার এই উৎসব মহর্ষি বেদ ব্যাসকে উৎসর্গ করা হয়। কারণ এই দিনে মহর্ষি বেদ ব্যাসের জন্ম হয়েছিল। এই দিনে শিষ্যরা তাদের গুরুদের পূজো করে।এটা বিশ্বাস করা হয় যে তাঁর জন্ম থেকেই গুরু পূর্ণিমা উৎসব পালনের প্রথা শুরু হয়েছিল।যা তখন থেকেই চলে আসছে।কেন গুরু পূর্ণিমা পালিত হয় চলুন জেনে নেই-
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মহর্ষি বেদ ব্যাস প্রায় ৩০০০ বছর আগে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।কথিত আছে যে গুরু পূর্ণিমা মহর্ষি বেদ ব্যাসকে উৎসর্গীকৃত। ধর্মীয় রীতি অনুসারে, গুরু ছাড়া জীবনে উপাসনা সংক্রান্ত কোনো কাজই সফল বলে বিবেচিত হয় না।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এবং তাঁর ভাই বলরাম কয়েক মাস ঋষি সন্দীপনীর একটি আশ্রমে তাদের শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ করেছিলেন। যার উপর যখন গুরুকে গুরুদক্ষিণা দেওয়ার সময় এল, তখন তাঁর গুরু শ্রীকৃষ্ণের কাছে এক অনন্য দাবি করলেন। এই সময় গুরু শ্রীকৃষ্ণকে বলেন তাঁর পুত্রকে যমপুরী থেকে ফিরিয়ে আনতে। সেই ছেলে বহুকাল আগে সাগরে একটি কুমিরের পেটে চলে যায়।এবার শ্রীকৃষ্ণ গুরুকে দক্ষিণা হিসেবে দেওয়ার জন্য তাঁর পুত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রত নেন। এরপর যমপুরী গিয়ে যমরাজের কাছ থেকে পুত্রকে ফিরিয়ে আনেন শ্রী কৃষ্ণ ও তাঁর ভাই বলরাম।
No comments:
Post a Comment