এই রোগে চলে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday 9 July 2023

এই রোগে চলে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি

 



এই রোগে চলে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তি



ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৯ জুলাই : ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে দ্রুত বর্ধনশীল শারীরিক সমস্যাগুলির মধ্যে একটি।  এটি শুধুমাত্র রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি করে না, ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে না বরং আরও অনেক গুরুতর সমস্যা হতে পারে।  স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বেড়ে যাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রাও দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিতে পারে।  অর্থাৎ ডায়াবেটিসের কারণে চোখের দৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে, যাকে বলা হয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি।  এটি অনুমান করা হয় যে ডায়াবেটিসের প্রতি চতুর্থ রোগীর এই সমস্যা রয়েছে।  চলুন জেনে নেই এই রোগ সম্পর্কে-

 

 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি :

 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ডায়াবেটিক রোগীদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিতে পারে।  এটি রেটিনার রক্তনালীকে প্রভাবিত করে।  ডায়াবেটিসজনিত এই চোখের সমস্যায় রক্তনালীগুলো ফুলে যায় এবং সেগুলো ফুটো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।  এই কারণে, এটি কম দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।  সময়ের সাথে সাথে সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে।  এ কারণেই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে ডায়াবেটিস রোগীদের বছরে অন্তত একবার তাদের চোখ পরীক্ষা করানো উচিৎ।

 

 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারণ:

 এর প্রধান কারণ রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসে চোখের সমস্যা।  উচ্চ রক্তে শর্করা ছোট রক্তনালীকে বাধা দেয় এবং যার কারণে চোখ নতুন রক্তনালী তৈরির চেষ্টা করে।  যখন এই জাহাজগুলি সঠিকভাবে গঠিত হয় না, তখন তারা ফুটো হতে শুরু করে।  এর ফলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির সমস্যা শুরু হয়।  ডায়াবেটিসের প্রতি যথাযথ মনোযোগ না দেওয়া, উচ্চ রক্তচাপ বা চিনির মাত্রা ক্রমাগত বেশি থাকা এবং অ্যালকোহল ও সিগারেট খাওয়ার কারণে এই সমস্যা হতে পারে।

 

 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ:

 প্রাথমিকভাবে অনেক ডায়াবেটিক রোগীর মধ্যে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ দেখা যায় না।  তবে সমস্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টি ঝাপসা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা হতে পারে।  সেজন্য সময়ে সময়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করা উচিত।

 

 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি প্রতিরোধ:

 ডায়াবেটিসে চোখের সমস্যা এড়াতে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে থাকুন।

 রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।

 স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, ব্যায়াম করতে থাকুন।

 সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করুন, যেমন দৌড়ানো, হাঁটা বা সাইকেল চালানো।

 সময়ে সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে থাকুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad