ইমরান খানের মুক্তির পর প্রধান বিচারপতিকে হুমকি পিএমএল-এন নেত্রীর

 

ইমরান খানের মুক্তির পর প্রধান বিচারপতিকে হুমকি পিএমএল-এন নেত্রীর 

ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ মে : পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বৃহস্পতিবার  পাক সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে গ্রেফতার করার দুদিন পর মুক্তির নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ আদালত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এর পর ইমরান খানকে গ্রেফতার করা নিয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব।  প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের ওপর।  ১১ই মে, মরিয়ম আওরঙ্গজেব পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দিলে বিচারকদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং আগুন দেওয়ার হুমকি দেন।

 ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে পিএমএল-এন নেতা মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন যে 'পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভে জড়িত সশস্ত্র প্রতিবাদকারী এবং সন্ত্রাসীরা দেশ ও রাজ্যের সম্পত্তিতে হামলা করেছে।  আপনারা সবাই দেখেছেন কিভাবে পিটিআই নেতারা ইমরান খানের নির্দেশে সহিংসতা উস্কে দিয়েছে এবং হামলার নির্দেশ দিয়েছে।'

এছাড়া ইমরান খানের মুক্তির আদেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মরিয়ম নওয়াজ শরিফ।  তিনি বলেন, আদালত একজন অপরাধীকে মুক্তি দিয়েছে।  আমি মনে করি বিচারকেরও পিটিআই দলে যোগ দেওয়া উচিৎ।

পিএমএল-এন নেত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব আরও বলেছেন যে মনে হচ্ছে হাইকোর্ট একজন অপরাধী, একজন সন্ত্রাসী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেয় এমন একজন গুন্ডাকে ত্রাণ দিচ্ছে।  তিনি বলেছিলেন যে এর আগেও অনেক পিএমএল-এন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেনি। 

 পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ১১ মে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতার করক অবৈধ ঘোষণা করে।  এরপর সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয়।  সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ মানেই আদালতে আত্মসমর্পণ করা এবং আত্মসমর্পণের পর কীভাবে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যায়? একজন ব্যক্তি যদি আদালতে আত্মসমর্পণ করে, তাহলে তাকে গ্রেফতার করে কী লাভ?

 ইমরান খানের আইনজীবী হামিদ খান আদালতকে জানান যে তার মক্কেল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন চেয়েছিলেন, কিন্তু আধা-সামরিক রেঞ্জাররা তাকে গ্রেফতার করেছিল।