এই ধান সেরা ফলন দেয়
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ মে : এবার জুনের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা আসবে। এরপর সারাদেশে কৃষকরা ধান বপন শুরু করবেন। তবে কৃষকরা ধানের নার্সারির প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কৃষক ভাইয়েরা যদি বাসমতি ধান চাষের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এটা তাদের জন্য বড় খবর। কারণ আজকে আমরা জানবো বাসমতি ধানের এমন জাতের কথা, যা চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, এর পাশাপাশি এসব জাতের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম-
সারা দেশে বাসমতি ধানের চাষ হয়। তবে কিছু জাত আছে, যেগুলো যেকোনও আবহাওয়ায় চাষ করা যায়। তাদের উপর ঝলসানো রোগের কোন প্রভাব নেই। এমতাবস্থায় কৃষকরা কীটনাশক ব্যয় এড়াবে এবং ধানের পুষ্টিগুণও অক্ষুণ্ন থাকবে, যার কারণে বাজারে তারা ভালো দাম পাবে।
পুষা বাসমতি-৬ (পুষা -১৪০১):
পুষা বাসমতি একটি সেচযোগ্য ধানের জাত। অর্থাৎ এই জাতটি বৃষ্টি থেকে নিজের জন্য জলের চাহিদা পূরণ করে। এটি বাসমতির একটি বামন জাত। ঐতিহ্যবাহী বাসমতির তুলনায় এর ফসলের দৈর্ঘ্য অনেক কম। এমতাবস্থায় প্রবল বাতাসেও এর ফসল মাঠে পড়ে যায় না। এর ফলনের সম্ভাবনা প্রতি হেক্টরে ৫৫ থেকে ৬০ কুইন্টাল।
ফলন পাবে।
Unnat Pusa Basmati-১ (Complete- ১৪৬০):
Unnat Pusa Basmati-১ এছাড়াও Pusa Basmati-৬ এর মত একটি সেচযোগ্য বাসমতি ধানের জাত। এর ফসল মাত্র ১৩৫ দিনে প্রস্তুত হয়। এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এমন অবস্থায় ঝলসে যাওয়া রোগ তাতে কোনও প্রভাব ফেলবে না। ফলনের কথা বললে, আপনি এক হেক্টর থেকে ৫০ থেকে ৫৫ কুইন্টাল ধান উৎপাদন করতে পারেন।
Pusa Basmati- ১১২১:
এটি যে কোনও ধান চাষ এলাকায় বপন করতে পারেন। এটি বাসমতির একটি সুগন্ধি জাত। এটি পাকে এবং ১৪৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়। এর ধানের দানা পাতলা ও লম্বা। খেতে খুব সুস্বাদু। এর ফলনের সম্ভাবনা প্রতি হেক্টরে ৪৫ কুইন্টাল। এ ছাড়া কৃষক ভাইয়েরা চাইলে পুষা সুগন্ধা-৩, পুষা সুগন্ধা-২ ও পুষা সুগন্ধা-৫ চাষ করতে পারেন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার আবহাওয়া এই জাতের চাষের জন্য অনুকূল। এই জাতগুলি ১২০ থেকে ১২৫ দিনের মধ্যে পাকার পরে প্রস্তুত হয়। যেখানে এক হেক্টরে ৪০ থেকে ৬০ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment