১.৮০ কোটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার, গ্রেফতার ১
নিজস্ব প্রতিবেদন,উত্তর ২৪ পরগণা, ১২ মে : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ৬৮ তম কর্পস, বর্ডার ফাঁড়ি মধুপুরের বিএসএফ জওয়ানরা ২৫টি সোনার বিস্কুট সহ একজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত পাচারকারীর নাম আমির মন্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন ২৯১৪ গ্রাম এবং যার আনুমানিক মূল্য ১,৮০,৪০,৫০৭ টাকা।
বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,যে মধুপুর সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা জোরালো খবর পায় যে এক চোরাকারবারী সোনার বিস্কুট নিয়ে এই গ্রামে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এরপর বিএসএফের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ডিউটিতে থাকা জওয়ানরা তড়িঘড়ি করে নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে,সীমান্তের রাস্তায় ঘোরাফেরা করা একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে। জওয়ানরা তাকে তল্লাশি করলে তার কোমরে বাঁধা ২৫টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। এরপর বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীকে সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই চোরাকারবারী আমির মন্ডল জানান, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার চাঁদপুর গ্রামের আশাদুল মন্ডলের কাছ থেকে তিনি এই সোনার বিস্কুটগুলি নিয়েছিলেন। এখন তিনি এই সোনার বিস্কুটগুলি উত্তর ২৪পরগনা জেলার গাদাপোতা গ্রামের বাসিন্দা পরেশের হাতে তুলে দিতে চলেছেন। এই কাজের জন্য তিনি পেয়েছেন তিন হাজার টাকা।
আধিকারিকরা জানান, সোনা চোরাকারবারীরা সীমান্তের গ্রামবাসীদের পেশা হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের মাধ্যমে পাচার করা সোনা পায় এবং কিছু পরিমাণ টাকা তাদের দেয়। এমতাবস্থায় এদের গ্রেফতার করা হলে তারা তেমন কিছু বলতে পারে না।
সীমান্তে সোনা চোরাচালান বন্ধ করার জন্য স্থানীয় জনগণকে পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে বিএসএফ। বিএসএফের পক্ষ থেকে একটি নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে চোরাকারবারীদের সম্পর্কে তথ্য দিতে।
বিএসএফ আধিকারিকরা বলছেন, চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জনগণের সহায়তা খুবই জরুরি। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ছাড়া চোরাকারবারিদের দমন করা খুবই কঠিন হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিএসএফ সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment