মদ চেনার উপায়, আসল ও নকলের পার্থক্য এটি?
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১১ মে : নকল মদ পান করে প্রতিদিন কত লোকেই মারা যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন রয়েছে যে কীভাবে নকল মদ চেনা যাবে? কোনও ভাবে যদি নকল এবং আসল মদের পার্থক্য বুঝতে পারা যায় তাহলে জীবনও বাঁচানো যাবে। চলুন জেনে নেই কীভাবে আসল এবং নকল মদ সনাক্ত করা যাবে-
প্রথমে দুটি মদের মধ্যে পার্থক্য :
প্রকৃতপক্ষে, আসল অ্যালকোহল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিককে ইথানল বলা হয়। কোম্পানিগুলো আসল মদ তৈরিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে এই রাসায়নিক ব্যবহার করে। নকল মদ তৈরিতে ইথানলের পরিবর্তে স্পিরিট, মিথাইল অ্যালকোহল, ইথাইল অ্যালকোহল, ইউরিয়া, অক্সিটোসিন ইনজেকশনের মতো অনেক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এসব রাসায়নিকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অ্যালকোহল হয়ে ওঠে বিষাক্ত।
নকল এবং আসল চেনার উপায় :
নকল মদ প্রস্তুতকারীরা এতটাই হাইটেক হয়ে উঠেছে যে তারা নকল মদের রং, স্বাদ এবং গন্ধ এমনভাবে প্রস্তুত করে যেন এটি আসল মদ। তবে তা সত্ত্বেও একটু যত্ন নিলেই চেনা যাবে নকল মদ কোনটি?
প্রথম এবং প্রধান জিনিস হল যখনই এটি কিনবেন , শুধুমাত্র অফিসিয়াল দোকান থেকে কিনবেন। সরকারী দোকান থেকে মদ কিনলে নকল মদ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এর সাথে, প্যাকেজিং দ্বারা জাল মদ সনাক্ত করতে পারেন। নকল মদের প্যাকেজিং খুব খারাপ হবে এবং এর নামের বানানটিও বিভ্রান্তিকর হবে। এর পাশাপাশি নকল মদের বোতলের সিল অনেকবার ভাঙা হয়।
নকল মদ পান করলে কী হবে:
যদি ভুল করে নকল মদ পান করেন তবে শরীরে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। কখনও কখনও পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে তা মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যায়। যদি ভুলবশত বিষাক্ত মদ পান করে থাকেন তবে শরীরে বিভ্রান্তি, বমি, খিঁচুনি, দুর্বলতা, ভারসাম্যহীন নিঃশ্বাস, নীলচে ত্বক, হাইপোথার্মিয়া এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সঠিক সময়ে এই লক্ষণগুলি চিনতে পারলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।
No comments:
Post a Comment